ডা. এস এ মালেক
সভাপতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ
প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
বিগত কয়েকদিন ধরে আমরা লক্ষ্য করছি বিএনপি-জামায়াত এবং অন্যান্য যেসব লোক তথাকথিত বিশ দলীয় ফ্রন্ট করেছে তাদের কেহ কেহ সরাসরি বলছেন যে দেশে নাকি যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। তারা জোরপূর্বক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করবে এবং যে যুদ্ধ তারা শুরু করেছে তাতে তাদের সমর্থনকারীদের আহ্বান জানানো হচ্ছে এই বলেযে, তাদের একজন আহত হলে প্রতিপক্ষের দশজনকে আহত করতে। একজন মরলে দশজনকেমারতে। এই যদি রাজনীতির দশা হয়, একটা দেশ যেখানে গণতন্ত্র রয়েছে, সংসদ রয়েছে, সেখানে গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটানোর জন্য রাজপথ যদি বেছে নেওয়া হয় এবং যদি সন্ত্রাসবাদ রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হয় তাহলে সেখানে গণতন্ত্র ও আইনেরশাসনকোথায়দাঁড়াবে? এসব চিন্তা করে আজকে আমরাবঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে আহ্বান জানাচ্ছি যে,আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ও সর্বস্তরের স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি যারা বাংলাদেশে বিশ্বাস করে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বিশ্বাস করে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের উপর আস্থা রাখেসময় এসেছে এখন তাদের সর্বাত্মকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নামার। আমরালাঠিসোটা নিয়ে রাজপথে নেমে মারামারি করবো না, আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা বিগত দেড় যুগ ধরে দেশে যেসব উন্নয়ন তৎপরতা চালিয়েছে তাআমরা জনগণেরসামনে তুলে ধরবো। আমরা জনগণের সাথে সম্পৃক্ত হবো এবং জনগণকে নিয়ে রাজনৈতিকভাবে ওদেরমোকাবেলা করবো নির্বাচনের মাধ্যমে, রাজপথে নয়, সহিংসতা নয় এবং সন্ত্রাসবাদী তৎপরতার মাধ্যমেও নয়।
জননেত্রী শেখ হাসিনা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়ে আজ প্রায় একটানা ১৪ বছর যেমন সরকার পরিচালনা করছেন আগামীতেও জনগণের ভোটে নির্বাচিত করে তাকে নিয়ে আমরা সরকারগঠন করব। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, আমরা সন্ত্রাসবাদের রাজনীতি দেখেছি পঁচাত্তরের পর বিভিন্ন সরকার কিভাবে সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দিয়েছে। বিএনপি’র আমলে কিভাবে সন্ত্রাসবাদকেপ্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে, এরশাদের আমলে কিভাবে সন্ত্রাসবাদকেপ্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে। আমরা গণতান্ত্রিক দল, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, গণতন্ত্রের পথে সংগ্রাম করে আমরা বাংলাদেশকে অর্জন করেছি।
আমরা স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় সরকার গঠন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ ও জাতিকে অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়েযাই। সময় এসেছে আপনারা সকলে সচেতন হন জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং গ্রামে কি ঘটে চলেছে? কারা সংঘবদ্ধভাবে সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিচ্ছে? তাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে হবে। আমাদের সচেতন ও সক্রিয়ভাবে এদের মোকাবেলা করতে হবে। এরা মনে করেছে আমরা দুর্বল তাই রাজপথে তারা তান্ডব চালতেশুরু করেছে।
তারা নিজেদেরকে শক্তিশালী বলে মনে করে। স্বাধীনতার স্বপক্ষের দল হিসেবে শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে আজকে যদি রাজপথে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা তথা আইনের শাসন এবং নির্বাচন ব্যবস্থা অব্যাহত রেখে সরকার পরিবর্তনের ধারায় এগিয়ে যাই তাহলে জনগণ আমাদের অকুন্ঠ সমর্থন জানাবে। বাংলার মাটিতে সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নাই। স্বাধীনতার শত্রুরা যতই চেষ্টা করুক দেশ এবং জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারার বহির্ভূত করতে পারবে না। আল্লাহর রহমতে আমরা জয়যুক্ত হবই।