মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরে তৈয়ব আলী (৭০) কে হত্যার রেশ কাটতে না কাটাতেই আবারো একই কায়দায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন ৬৫ বছর বয়সী আরেক ভবঘুরে ছিন্নমূল অজ্ঞাত এক ব্যাক্তি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা গোয়ালন্দ রাবেয়া ইদ্রিস মহিলা ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন ঢাকা-খুলনা মহাড়কের যাত্রী ছাউনির মধ্যে থেকে ওই অজ্ঞাত বৃদ্ধকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে।
এ দুটি হামলা প্রায় একই ধরনের। কারা কেন তাদের উপর হামলা করছে। সে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।
এর আগে গত ৭ মে গোয়ালন্দ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের এফকে টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের বারান্দা হতে তৈয়ব আলী (৭০) নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরে বৃদ্ধকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা।
স্থানীয়দের ধারনা, এসকল মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরে সারাদিন বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায়। অনেকেই এদের হাতে টাকা পয়সা দিয়ে থাকে। আবার অনেকেই তাদেরকে হাতে খাবারও দিয়ে থাকে। তাদের হাতে দেয়া টাকা তারা খরচও করতে পারে না। তাই ওই টাকাগুলো তাদের কাছেই থেকে যায়। সেই টাকা নেয়ার জন্য নেশাখোররা নেশার ঘোরে তাদের উপর হামলা চালিয়ে থাকতে পারে।
সোমবার হামলার শিকার বৃদ্ধ সম্পর্কে স্থানীয়রা জানান, এই অজ্ঞাত বৃদ্ধাকে বিগত ৫ বছর যাবত গোয়ালন্দের বিভিন্ন এলাকায় থাকতে দেখা গেছে। বেশ কিছুদিন পর গত ৫ দিন আগে তিনি এই যাত্রী ছাউনির নিচে থাকতে শুরু করে। কে বা কারা এই নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে সে সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা নেই।
স্থানীয়রা জানায়, লোকটি কারো বাড়ি গিয়ে ভাত চাইতো না। গাছের ফল পেরে খেতেন এবং অনেকের কাছ থেকে শুধু ফল চাইতেন। তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তবে তিনি অন্যান্য পাগলের মত না। তিনি কোন পাগলামি করতেন না।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহ মো. শরিফ জানান, বৃদ্ধের মাথায়, কপালে ও হাতে ধারালো অস্ত্রের গভীর আঘাত রয়েছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে কিছুদিন আগের মানুষিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যার সাথে আজকের এই ঘটনার অনেকটাই মিল রয়েছে। কে বা কাহারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের খুঁজে বের করা হবে। সেই সাথে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।