রাজবাড়ীর পাংশায় রাশিদুল ইসলাম (৩৫) নামে ইউনিয়নে যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার জেরে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। নিহতের পরিবারের সদস্যদের কান্না থামছেই না।
স্থানীয়রা জানান, রাজনৈতিকভাবে রাশেদুল পাট্টা ইউনিয়ন যুবদলের সঙ্গে যু২ মে) রাতে ট্রাকে ধান নিয়ে বাড়ি ফেরেন। পরে শনিবার (৩ মে) সকালে ধান ভাগ করার জন্য বাড়ি থেকে বের হলে সকাল ১০টার দিকে নিভা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় প্রতিপক্ষের লোকজন তার ওপর হামলা চালায়। এসময় তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে দুপুর ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এদিকে এ ঘটনার জেরে ইউপির পাট্টা গ্রামের সুমন বিশ্বাস নামে এক বিএনপি কর্মীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সুমন ওই একালার জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের ছেলে।
সুমন বিশ্বাসের মা সালমা সুলতানা জানান, আমার ছেলে বিএনপির হারুন গ্রুপের সাথে রাজনীতি করে। ওই পাড়ার লোকজন এসে আমাদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। গত রোজার ঈদের পর আমার ছেলে সুমনের হাত-পা ভেঙে দিয়েছে। আমার ছেলে অসুস্থ। আগুনে প্রতিটি রুমের সব আসবাবপত্রসহ পুড়ে গেছে। আমরা কেউ বাড়ি ছিলাম না।
রাজবাড়ী জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) দেবব্রত সরকার বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে পাংশা হাসপাতালে পাঠায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য একজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অগ্নি সংযোগের বিষয়ে বলেন, ইউনিয়নের পাট্টা মন্ডলপাড়া একটি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটেছে কিনা সেটা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।