টিআইবি’র অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) রাজবাড়ীর উদ্যোগে “একটাই পৃথিবী, একটাই বাংলাদেশ চাই আইন ও নীতির কার্যকর প্রয়োগ ও সুরক্ষিত পরিবেশ” এই প্রতিপাদ্যে বিশ^ পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার সনাক কার্যালয় থেকে একটি বর্ণ্যাট্য র্যালী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই জায়গায় গিয়ে শেষ হয়।
পরে সনাক কার্যালয়ে সনাক সভাপতি প্রফেসর মো. নুরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। টিআইবি’র এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মাসুদ আহমেদ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, কবি খোকন মাহমুদ, ডা. আবুল হোসেন বিশ^দ্যিালয়ের শিক্ষক সানজিদা আকতার, সাংবাদিক সৌমিত্র শীল চন্দন প্রমুখ।
আলোচনা সভায় ধারণাপত্র তুলে ধরেন রাজবাড়ী সনাকের ইয়েস দলনেতা খাদিজা খাতুন। আলোচনা সভায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, যুব সমাজ মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২২ সামনে রেখে প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনায় শুদ্ধাচার নিশ্চিতে টিআইবি নিম্নোক্ত দাবিসমূহ উত্থাপন করা হয়
বন ও জলাভূমিসহ পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন এবং প্রাকৃতিক সম্পদের নিরাপত্তা বিধান করার সাংবিধানিক নির্দেশনা অনুসারে নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে সদিচ্ছার প্রকাশ ঘটিয়ে বিদ্যমান আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে;
পরিবেশ দূষণ রোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্বচ্ছতার সাথে সম্পাদনে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে;
পরিবেশ সুরক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কার্যক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সকল পর্যায়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, আদিবাসী এবং নারীসহ ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। কার্যক্রম বাস্তবায়নে তাদের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানকে গুরুত্ব প্রদান করতে হবে;
সঠিক পরিকল্পনাসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে প্রণোদনা ও জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের উপর ‘কার্বন ট্যাক্স’ আরোপ করতে হবে;
বাংলাদেশে জীবাশ্ম জ্বালনির ব্যবহার বন্ধ এবং নবায়নযোগ্য জ¦ালানির প্রসারে একটি স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি সময়াবদ্ধ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রণয়ন করে প্রশমন বিষয়ক কার্যক্রম স্বচ্ছতার সাথে বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে হবে;
এখাতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন ও অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরসহ পরিবেশ রক্ষায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনসহ আইন প্রয়োগে সকল প্রকার ভয়, চাপ ও আর্থিক প্রলোভনের ঊর্ধ্বে থেকে দূষণের জন্য দায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে;
বন, নদী, জলাশয় এবং প্রাকৃতিক সম্পদের অবৈধ দখলের সাথে জড়িতদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে;
জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশের ক্ষতি রোধ এবং জীবন-জীবিকা ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় ঝুঁকিপূর্ণ নির্মীয়মান কয়লা ও এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো স্থগিত করে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ কৌশলগত, সামাজিক ও পরিবেশগত সমীক্ষা সম্পাদন সাপেক্ষে অগ্রসর হতে হবে;
টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ও প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে সকল উন্নয়ন কার্যক্রমে পরিবেশ সুরক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে; এবং
পরিবেশের জন্য টেকসই এবং প্রাত্যহিক জীবনধারণের জন্য সাশ্রয়ী ও বিকল্প ব্যবস্থা প্রবর্তনে পরিবেশ সুরক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রমে নাগরিক অংশগ্রহণ এবং শুদ্ধাচার নিশ্চিত করতে হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি