তীব্র দাবদাহে মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস তৈরি হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানের ন্যায় রাজবাড়ীর পাংশাতেও চলছে তীব্র দাবদাহ ও খরা। এক ফোটা বৃষ্টির আশায় মানব জাতির পাশাপাশি প্রহর গুনছে পশু পাখিরাও। কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই। উল্টো প্রতিদিনই তাপমাত্রা যেন বাড়ছেই। এ অবস্থায় পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের কাচারীপাড়ায় স্থানীয়দের আয়োজনে বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রর্থনা ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে। তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির আশায় স্কুল এন্ড কলেজ মাঠেম ঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে খোলা আকাশের নিচে প্রচন্ড রোদের মধ্যে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
সরেজমিনে কাচারীপাড়া স্কুল এন্ড কলেজে মাঠে গিয়ে দেখা যায়, নানা বয়সী মানুষ নামাজের জন্য মাঠে হাজির হয়েছেন। নামাজে প্রায় হাজারও মুসল্লি অংশ নেন। নামাজে ইমামতি করেন কাচারীপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা সিফাত উল্লাহ। ইমাম প্রথমে নামাজের নিয়মকানুন বলেন। এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন সবাই। নামাজ শেষে খুতবা পাঠ করার পর দুই হাত তুলে প্রচন্ড গরম, তীব্র তাপপ্রবাহ ও খরা থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করেন তারা।
স্থানীয় কয়েকজন মুসল্লি এ প্রতিবেদককে বলেন, দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ, পশুপাখি, গাছপালাসহ সবাই কষ্টে আছে। বৃষ্টিবাদল নেই। খুব তাপ। টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। খরায় মাঠের ফসলাদি নষ্ট হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়ছেই। এ জন্য আমরা মহান আল্লাহর দরবারে প্রশান্তির বৃষ্টি চেয়েছি। যেকোনো বিপদ থেকে রক্ষা পেতে আমরা প্রথমেই সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করি। এ নামাজ ও দোয়ার মধ্য দিয়ে সেই কাজ করা হলো। সৃষ্টিকর্তা রহমত বর্ষণ করবেন বলে আশা করছি।
পাংশা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব ও শাহজুই কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু মুসা আশয়ারী বলেন, অনাবৃষ্টি ও অতি তাপপ্রবাহের কারণে জন জীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। এই অবস্থায় আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আমরা নিরুপায়। তাই এই দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টি লাভের আশায় রসূল (সা.) এর সুন্নত মেনে আমরা ইসতিসকার নামাজ আদায় করে থাকি।