রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউপির কাচারীপাড়া গ্রামে মকছেদ আলী মন্ডলের নির্মাণাধীন দোতালা ভবনের নিচতলার টয়লেটের পাইপ ভেঙে ক্ষতিসাধন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমির সীমানা বিরোধের জের ধরে শুক্রবার একই গ্রামের হাবিবুর রহমান প্রামানিক এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে।
মকছেদ আলী মন্ডল জানান, হাবিবুর রহমান প্রামানিকের সাথে আমার কোন দ্বন্দ্ব নেই। একই গ্রামে আমাদের বসবাস। আমার বসত বাড়ী সংলগ্ন প্রতিবেশি মৃত ইসলাম প্রামানিকের নিকট থেকে হাবিবুর রহমান প্রামানিক ২০/২৫ বছর আগে ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেছে। বেশ কয়েকবার ওই জমি মাপ জোক করে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছেন স্থানীয় মক্কেল মাতুব্বররা। সম্প্রতি হাবিবুর রহমান বাদি হয়ে মসলেম, জিয়াউর রহমান, সামসুদ্দিন (শাম), আনোয়ার মন্ডল, চাঁদ আলী মন্ডল ও আমাকে (মকছেদ আলী মন্ডল) বিবাদি করে রাজবাড়ীর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় ৪৬৮/২১ নং মামলা দায়ের করেছে। এ মামলা করায় তার সাথে বিরোধ দেখা দিয়েছে। এছাড়া আমার সীমানার মধ্যে পড়া ইসলাম প্রামানিকের লাগানো দুটি নারকেল গাছ আমার (মকছেদ আলী) ঘরের উপর হেলে পড়ে ঘরের ও দেয়ালের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমার সীমানার মধ্যে পড়লেও যেহেতু গাছ দুটি ইসলাম প্রামানিকের লাগানো সে কারণে আমি তাদের গাছ দুটি কেটে নেওয়ার জন্য বলি। কিন্তু তারা গাছ কেটে নেয় নি। ঝড়ে বসতবাড়ির ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় নারকেল গাছ দুটির মাথা গত ৩ মে ঈদের নামাজের পর কেটে ফেলানোর কারণে হাবিবুর রহমান প্রামানিক আমার (মকছেদ আলী) উপর ক্ষুব্ধ হয়ে আমার নির্মাণাধীন দোতালা ভবনের নিচতলার টয়লেটের পাইপ ভেঙে ক্ষতিসাধন করেছে। ক্ষতিপূরণ আদায়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত মকছেদ আলী।
এ ব্যাপারে হাবিবুর রহমান প্রামানিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পাইপ ভাঙা ঠিক হয় নি। নারকেল গাছের মাথা কাটার কারণে রাগ হয়।