রাজবাড়ী পাংশার বিভিন্ন ইটভাটায় প্রকাশ্যে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। দিন দিন কৃষি জমি চলে যাচ্ছে ভাটা মালিকদে দখলে। ইটভাটায় মাটি নিয়ে যাওয়া ভারি যান চলাচলে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। ইটভাটার ধোয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। বাড়ছে রোগ। ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস পরিবেশ অধিদপ্তরের।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলায় মোট ১৭ টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি বন্ধ রয়েছে। বেশিরভাগ ভাটাই চালু রয়েছে। প্রায় প্রতিটি ভাটার পাশেই রয়েছে কৃষি জমি। অধিকাংশ ভাটায় কয়লা দিয়ে ইট পুড়ালেও কয়েকটি ভাটায় প্রকাশ্যে পুড়ানো হচ্ছে কাঠ। ভাটার বৈধ কাগজপত্র আছে বলে দাবি করলেও, তা দেখাতে পারেননি কয়েকটি ভাটার মালিকরা।
উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের সুবর্ণখোলা গ্রামের ভাটা এলাকার এক কৃষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের এলাকায় কোন ইট ভাটা ছিলো না। তিন বছর হলো এখানের কৃষি জমিতে একটি ভাটা হয়েছে। ধীরে ধীরে আমাদের কৃষি জমিতে ফসল কমতে শুরু করেছে। ভাটার মালিক অনেক কৃষি জমিও নিয়ে নেছে।
বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ভাটা এলাকার মো. কমির নামের এক ব্যক্তি জানান, দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝখানে কিভাবে ইটভাটা চলে তা আমাদের জান নেই। ভাটায় প্রকাশ্যে কাঠ পুড়িয়ে পরিবেশ দূষিত করা হচ্ছে, দেখার কেউ নেই। যশাই ইউনিয়নের ভাটা এলাকার স্থানীয়রা জানায়, ভাটায় মাটিবাহী ভারী যান চলাচলের কারণে এলাকার রাস্তাগুলো ভেঙে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিবেশ ও বন বিভাগে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। উপজেলা পরিবেশ ও বন বিভাগের কর্মকর্তা আজিজুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফরিদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. হারুন অর রশিদ জানান, রাজবাড়ী জেলা সদর, বালিয়াকান্দি ও গোয়ালন্দ উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করেছেন। পাংশা উপজেলার ইটভাটার বিষয়ে ইতিমধ্যে অবগত হয়েছে। অভিযান পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।