দিন মজুর সোরাপ শেখের চারটি ঘর এক নিমিষেই পুড়ে ছাই। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ৮ নং ওয়ার্ড জিতু শেখের পাড়ার বাসিন্দা সোরাপ শেখের থাকার ঘরসহ আরও ৩ টি ঘর আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। মাথা গোজার একমাত্র অবলম্বলসহ মূল্যবান আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সব কিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এমনকি ঘরে থাকা কাজ করে নিয়ে আসা জমানো টাকা, অলংকার ও বাড়ির দলিলপত্রসহ প্রয়োজনীয় সব কিছু পুড়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে পরিবারটি। মাথা গোজার মতো একটি ঘর অবশিষ্ট নেই। গাছ তলায় এখন তাদের বসবাসের একমাত্র জায়গা। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, রান্না ঘরের আগুন থেকেই সৃষ্ট আগুনে পুড়ে গেছে ঘর। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের দীর্ঘ চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে তবে ততক্ষণে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরিবারের লোকজন জানান, চোখের পলকেই দাউ দাউ করে আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পরে সব ছাই হয়ে যায়। সোরাপ শেখ বলেন, আমার আর এই ভিটে-মাটি ছাড়া কিছুই রইল না। কোথায় থাকবো, কি করবো? কিছুই ভেবে পাচ্ছি না। থাকার জায়গাযে ঠিক করবো সে সামর্থ্যও আমার নেই।
এলাকার বাসিন্দা রাজু হাসান বলেন, দিন মজুর সোরাপ চাচা একজন অসহায় মানুষ। তার বসত বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমাদের সবার উচিৎ অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানো।
গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা সাবেকুল ইসলাম বলেন, আমরা মুঠোফোনে ঘটনার কথা শুনে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারাই আশেপাশের ঘরগুলো রক্ষা পেয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যােতি বিকাশ চন্দ্র, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল ছুটৈ যান।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, ঘটনাটি শোনার পর আমরা উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগস্ত পরিবারের জন্য ১০ দিনের খাবার ও কম্বল দিয়েছি। পরিবারের থাকার জায়গার জন্য ঢেউটিন ও কিছু আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।