সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে দুই পরিবারের ঈদ আনন্দ। রাজবাড়ীর পাংশা ও গোয়ালন্দ উপজেলায় দুইজন নিহত হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর। দৌলতদিয়া-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের আমতলী নামক স্থানে ট্রাক-প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাইভেটকার চালক মাহবুবুর রহমান নিহত হয়েছেন। শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাহবুব সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার আমলাপাড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে। স্থানীয় সূত্র জানায়, কুষ্টিয়াগামী ট্রাক এবং রাজবাড়ীমুখী প্রাইভেটকার আমতলী এলাকায় পৌছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় দুটি যানই ছিটকে খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই নিহত হন প্রাইভেটকারের চালক মাহবুবুর রহমান। প্রাইভেটকারটিতে আর কোনো যাত্রী ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে সিরাজগঞ্জ থেকে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ধাওয়াপাড়া ঘাট হয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল প্রাইভেটকারটি। ঘটনার পর থেকে ট্রাকের চালক ও হেলপার পলাতক।
পাংশা হাইওয়ে থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, পুলিশ ট্রাকটিকে আটক করেছে। তবে চালক পলাতক। নিহতের স্বজনদের বার্ত পাঠানো হয়েছে। তারা এলে লাশ হস্তান্তর করা হবে। আইনগত পদক্ষেপের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। গোয়ালন্দ প্রতিনিধি জানান, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ উপজেলার বাংলাদেশ হ্যাচারীজের সামনে শনিবার বিকেলে দ্রুতগতির ট্রাক চাপায় শহিদুল ইসলাম নামের এক গার্মেন্টস কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি বাগের হাট জেলার রামপাল উপজেলার ভোজপারাদিয়া ইউয়িনের চন্দ্রখালী গ্রামের মৃত শেখ জিন্নত আলীর ছেলে। তিনি গাজীপুরের এমএনডব্লিউ ফ্যাশন লিমিটেডে কর্মরত ছিলেন। ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, নিহত শহিদুল ইসলাম ঈদের ছুটি পেয়ে গাজীপুর থেকে নিজ মোটরসাইকেল (নং ফরিদপুর হ-১২৩২৮৬) চালিয়ে বাগেরহাট জেলার রামপালের নিজ গ্রামে ঈদ করতে যাচ্ছিলেন। শনিবার বিকেল ৪টার দিকে তিনি গোয়ালন্দ উপজেলার বাংলাদেশ হ্যাচারীজের সামনে এলে পেছন থেকে দ্রুত গতির একটি ট্রাক (নং ঢাকা মেট্টো ট-২২-৫৬৭৯) তাকে চাপা দেয়। এতে ট্রাকের টাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। রাজবাড়ীর আহলাদিপুর হাইওয়ে থানার সার্জেন জয়ন্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দূর্ঘটনা ঘটানো ট্রাকটি আটক করা হলেও ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। এছাড়া মৃতদেহটি উদ্ধার করে পরবর্তী আইগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।
গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের ফায়ার ফাইটার মো.আরিফুর রহমানসহ আরো ৫ জন লাশটিকে ট্রাকের চাকার নিচ থেকে উদ্ধার করে আহলাদিপুর হাইওয়ে থানায় প্রেরন করে। গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার জানান, লাশটিকে আহলাদিপুর হাইওয়ে থানার মাধ্যমে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, ঘাতক ট্রাকটিকে জব্দ করা হয়েছে। এবং ঘটনার পরপরই ট্রাক চালক পালিয়ে গেলেও তাকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।