আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ। বাঙালী জাতির দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ রাখা বাঙালী জাতিকে নিষ্পেসনের কষাঘাতে ফেলে পাকিস্তানিরা যখন নগ্ন খেলায় উন্মত্ত, ঠিক সেই প্রেক্ষাপটে এ জাতির কান্ডারী তৎকালিন ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে সমবেত কয়েক লক্ষ জনতার সামনে দেশ স্বাধীনতার আহ্বানে উত্তাল ঢেউয়ের আবির্ভাব করে জাতিকে সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। ১৯৪৮ সালে ভাষার দাবীতে তার নেতৃত্বে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট, ৬৪’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান এবং ৭০’র নির্বাচনসহ ২৩ বছরের দমন পীড়ন শোষণ-শাসন পেড়িয়ে অত্যাচারের প্রতিবাদে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই দিন ঘোষণা দিলেন “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”। ৭ই মার্চের সেই উদ্দিপ্ত ঘোষণায় বাঙালী জাতি পেয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ। দীর্ঘ নয় মাস বাঙালী জাতি বহু রক্তক্ষয়ের মধ্য দিয়ে অবশেষে পায় স্বাধীনতা।
২০১৭ খ্রীষ্টাব্দে বিশ্ব সংস্থা ইউনেস্কো “ডকুমেন্টরী হেরিটেজ” (বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য) হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক সেই ভাষণকে স্বীকৃতি দিয়েছে। জাতির পিতার এই ত্যাগ আর দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনাদর্শ ধারণ করে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলাই হোক আমাদের অঙ্গিকার। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার
সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও
প্রকাশক
দৈনিক আমাদের রাজবাড়ী।