রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত গোয়ালন্দের একঝাঁক শিক্ষার্থী শনিবার গোয়ালন্দ বাজার তদারকি ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করেন। বাজারের পন্যদ্রব্যের দাম স্বাভাবিক রাখা ও উপজেলাকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার অভিযানের অংশ হিসেবে তারা এ কাজ করেন। শনিবার সকাল ১১ টায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা ঝাড়ু, কোদাল, কাস্তে হাতে নিয়ে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করছেন। এছাড়া তারা হাসাপাতালের বিভিন্ন স্থানে স্তুপকৃত ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলছেন। কেউবা হাসপাতালের পানি নিস্কাষণের ড্রেন, চারপাশের আগাছা এবং হাসপাতাল প্রাঙ্গন ঝাড়ু দিয়ে পরিস্কার করছেন। এরপর দুপুরে তারা বাজার তদারকিতে অংশ নেন।
অভিযানে অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আলিম খান, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিয়াদুল ইসলাম, সরকারি বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী মিয়া মাহিমুজ্জামান, সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজের শিক্ষার্থী খন্দকার মেহেদী হাসান, সাভার গণবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাকিব বিশ্বাসসহ দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী। তাদের সাথে অংশ নেন গোয়ালন্দ সান-সাইন কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরতাজ আলম রবিন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্রগ্রামের অন্যতম সমন্বয়ক আলিম খান জানান, আন্দোলনে সাফল্য অর্জনের পর দেশটাকে ঢেলে সাজানোর জন্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নির্দেশক্রমে গোয়ালন্দ উপজেলাকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, সরকার নির্ধারিত দ্রব্যমূল্যের বিষয়ে বাজার তদারকি, দৌলতদিয়া ঘাটের অব্যবস্থাপনা বিষয়ে তদারকিসহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা কাজ শুরু করেছেন। এটা অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে আমরা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সাথেও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছি।