রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে সারাদিন আওয়ামীলীগের নিয়ন্ত্রণে ছিল ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ এলাকা। তবে দুপুর ২ টার দিকে মহাসড়কের গোয়ালন্দ রেলগেট এলাকায় শতাধিক যুবক সরকারের বিপক্ষে বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি নেয়। এ সময় মহাসড়কে যানবাহন সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ধাওয়া দেয়। আন্দোলনকারীরা পিছু হটলেও পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন সামান্য আহত হন। তবে বড় ধরনের কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে রবিবার সকাল ১১ টায় মহাসড়কের গোয়ালন্দ বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হন। এ সময় তারা কোটা আন্দোলন ও এক দফা দাবির নামে সারাদেশে বিএনপি, জামায়াত, ছাত্র শিবির ও জঙ্গিগোষ্ঠির নাশকতা এবং তাদের সরকার পতনের এক দফা দাবির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
এতে নেতৃত্ব দেন গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন রনি, পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সুজ্জল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য ইউনুস হোসেন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সালু, উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি তুহিন দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক আবির হোসেন হৃদয় প্রমূখ। গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সি বলেন, আমরা কোন সংঘাত চাইনা। কিন্তু এখানে কেউ কোন নৈরাজ্যের সৃষ্টি করলে তার দাঁতভাঙা জবার দিতে আমরা মাঠে প্রস্তুত আছি।