রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের পিয়ার আলীর মোড় সংলগ্ন কাউয়ালজানি ও তেনাপচা এলাকায় প্রবহমান মরা পদ্মা নদী হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে ২০০ ফুট পাইপ ধ্বংস ও এক ড্রেজিং মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন। অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র।
জানা যায়, উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের পিয়ার আলীর মোড় সংলগ্ন কাউয়ালজানি ও তেনাপচা এলাকায় প্রবহমান মরা পদ্মা নদী হতে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছিল স্থানীয় এক ইউপি সদস্য ও এলিট নামে আরেক যুবক। উত্তোলিত বালু বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে চক্রটি হাতিয়ে নিচ্ছিল মোটা অঙ্কের টাকা। এতে করে খালপাড়ের বসতবাড়ী, ভিটেমাটি, ফসলি জমি এমনকি নিকটস্ত প্রাইমারি স্কুল ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে অবৈধ বালু উত্তোলন বিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ২০০ ফুট পাইপ দা দিয়ে কুপিয়ে ছিদ্র করে দেয়া হয় এবং একজন ড্রেজার মালিককে ২০ হাজার টাকা ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, উপজেলার যেকোনো জায়গায় অবৈধ ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে মাটি কাটা সম্পূর্ণ বেআইনি। অবৈধভাবে নদী থেকে বালু-মাটি উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, এমন কাজে দুইটি ড্রেজার মেশিনের পাইপ ধ্বংস এবং একজনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেইসাথে অপর একজনকে অভিযান পরিচালনাকালীন পাওয়া যায়নি। পদ্মায় তারা আর কখনো ড্রেজিং ব্যবহার করে মাটি, বালু উত্তোলন করতে পারবেনা বলে সতর্ক করা হয়েছে।