রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি ত্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে ডুবে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ চর ও নিম্নাঞ্চল। সেইসাথে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীতে স্রোত ও ঢেওয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে দৌলতদিয়া ফেরি ও লঞ্চঘাট এলাকায় ভাঙন আতংক দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে ৬ ও ৭ নং ফেরিঘাটের অনেকটা এলাকা নদীতে বিলীন হয়েছে। নদীতে চলে গেছে কয়েকটি বসতবাড়ী ও দোকানপাট। বিআইডব্লিউটিএ প্রাথমিকভাবে কিছু বালুর বস্তা ফেললেও তা অপ্রতুল। এমতাবস্থায় শতশত বসতবাড়ি, ফসলিজমি ও দোকানপাট, স্কুল ও ফেরিঘাটমুখি পাকা সড়ক ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে।
রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী শনিবার সন্ধ্যার পর দৌলতদিয়ার ভাঙন কবলিত ফেরিঘাট এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় ভাঙন প্রতিরোধে জরুরি ব্যবস্থা নিতে সংসদ সদস্যের নিকট দাবি জানান এলকাবাসী। পরিদর্শন শেষে সংসদ সদস্য বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানকে বলেন, জরুরি ভিত্তিতে আগামী দুইদিনের মধ্যে ফেরিঘাট এলাকার ভাঙ্গন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ করতে হবে। অন্যথায় এখানকার শতশত মানুষ মানববন্ধন সহ কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবে। কিছুদিন আগে এখানে প্রাথমিকভাবে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। কিন্তু সেই কাজ নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। আগামিতে যে কাজ করা হবে সেটা জন্য তাকে এবং উপজেলা চেয়ারম্যানকে অবহিত করে করা হয়। এ সময় গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সি, রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. ইউনুস হোসেন মোল্লাসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্হিত ছিলেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দৌলতদিয়া পয়েন্টের গেজ রিডার সালমা খাতুন জানান, রবিবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘন্টায় পদ্মার এ পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পায়। শনিবার বৃদ্ধি পেয়েছিল ৩০ সেঃমিঃ। রবিবার সকালে পদ্মায় পানির লেভেল ছিল ৬.৪৫ মিটার। এখানে পানির বিপদসীমা ৭.৯০ মিটার।