ঈদের বাকি আর মাত্র একদিন। দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার অসংখ্য মানুষ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে ঘরে ফিরছেন। তাদের ঘরে ফেরা নির্বিঘ্ন করতে এবং দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শনিবার দৌলতদিয়া ঘাট পরিদর্শন করেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদ।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিনি ঘাটে এসে ঘরমুখী যাত্রী, পরিবহন মালিক প্রতিনিধি, শ্রমিক নেতৃবৃন্দ সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ঘাটে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কোরবানীর পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি, যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত আদায় করা, চুরি, ছিনতাইসহ সকল ধরনের অপতৎপরতা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তীব্র রোদ গরমে মানুষের কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তবে নদী পার হয়ে ঘাটে এসে যাত্রীদের যাতে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে না হয় সে জন্য বিভিন্ন জেলার বেশ কয়েকটি বাড়তি কাউন্টার খোলা হয়েছে। নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে ভাড়া। কাউন্টারগুলো হতে যাত্রীরা সহজেই নিজ নিজ জেলার বাসে উঠে যাচ্ছেন।
এছাড়া কোথাও কোন সমস্যা হচ্ছে না। এতে করে ঘরমুখো সাধারণ যাত্রীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাত্রীদের সার্বিক কল্যাণে ঘাটে সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম, গোয়ালন্দ ঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল প্রমুখ।