নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান সরোয়ার মাহমুদ বলেছেন, দৌলতদিয়া ঘাটের সংরক্ষণ ও নদী শাসনের বিষয়ে আমি প্লানিং কমিশনারকে বলব। যাতে এখনে ভাঙ্গন প্রতিরোধ ও ঘাটের স্থায়ী সংরক্ষনে কাজ শুরু করা হয়। শনিবার বিকেলে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদী ও ৬ নম্বর ফেরিঘাটের ভাঙন কবলিত স্থান পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, পদ্মা নদীর প্রশস্ততা অনেক বেশী। প্রতি বছর এই নদীতে ভাঙনের কারনে নদীর চ্যানেলগুলো পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। নদী শাসন করা, নদীর পাড় ঠিক রাখা, নদীর চ্যানেল গুলোকে ঠিক করা একটি ব্যয়বহুল কাজ। সরকার কিন্তু সব সময় এ বিষয়ে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। নদী রক্ষা করতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসতে হবে। অনেক সময় মানুষের কাজের জন্যও নদী ভাঙন হয়। যেমন নদী হতে বালু ও মাটি উত্তোলন করা। আমরা চাই জনগণের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে নদীর প্রবাহ ও জীব বৈচিত্র যেন ঠিক থাকে। স্থানীয় মানুষজনেরও এখানে করণীয় আছে। তারা যেন নদীকে রক্ষা করার ব্যাপারে উদ্যোগী হন। তাহলে নদীগুলোকে স্বাভাবিক অবস্থায় রাখা যাবে। পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই মো. ফরিদ উদ্দিন, দৌলতদিয়া নৌযান ফেডারেশনের সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।