শনিবার দুপুরে পায়াক্ট বাংলাদেশ সংস্থার আয়োজনে দৌলতদিয়া পায়াক্ট বাংলাদেশ সেফ হোমের প্রাক্তন ও বর্তমান শিশুদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জন্মদাতা না হয়েও অসহায় শিশুদের পিতার দায়িত্ব পালন করে চলেছেন দৌলতদিয়ায় অবস্থিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পায়াক্ট বাংলাদেশ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আবু ইউসুফ চৌধুরী।
উল্লেখ্য, পায়াক্ট বাংলাদেশ সংস্থা ২০০০ সাল থেকে দৌলতদিয়ার যৌনপল্লীর ১২০ জন শিশুদের নিয়ে সেভহোম কার্যক্রম শুরু করেন। তখন থেকে শিশুদের ভরণ-পোষণ থেকে শুরু করে তাদের লেখাপড়া করিয়ে অনেককে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সংস্থাটি। সংস্থাটি ২০০৭ সাল থেকে কোন প্রকার প্রজেক্ট না থাকার পরও ব্যাক্তিগত ভাবে নিজ অর্থে এসব শিশুদের লালন-পালন করে আসছে পায়াকট বাংলাদেশ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা আবু ইউছুফ চৌধুরী। সংস্থাটি যৌন পল্লীর অসহায় এতিম ১১ জন শিশুকে ইতিমধ্যে লেখাপড়া করিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন স্থানে বিয়ে দিয়েছেন। তারা সংসার জীবনে প্রত্যকেই ভালো অবস্থানে রয়েছে। এর মধ্যে একজন শিশু ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছেন এবং আর একজন কোরআনের হাফেজ হয়েছেন। বর্তমান পায়াক্ট বাংলাদেশ হোমে ১১ জন অসহায় শিশু রযেছে। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পায়াকট বাংলাদেশ হতে সমাজে বিয়ে হওয়া মেয়েরা তাদের স্বামীর সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে হাজির হয়েছেন তাদের পিতৃতুল্য পিতার কাছে। এদিন সবার জন্য বিভিন্ন উপহার ও সুস্বাদু খাবারের ব্যবস্থা করেছেন আবু ইউসুফ চৌধুরী।
এসময় পায়াক্ট বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা আবু ইউছুফ চৌধুরী সফরসঙ্গী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, অবসরপ্রাপ্ত উপসচিব নজরুল ইসলাম চৌধুরী, গ্রামীণ ব্যাংকের জিএম অবসরপ্রাপ্ত মির আখতার হোসেন, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল, দৌলতদিয়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. জুলফিকার আলী, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সৌরভ কুমার বিশ্বাস, পায়াক্ট বাংলাদেশে সংস্থার ম্যানেজার মো. মুজিবুর রহমান খান জুয়েল, প্রকল্প কর্মকর্তা (শিক্ষা) শেখ রাজীব, গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীম শেখ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শামীম প্রমুখ।
পায়াকট বাংলাদেশ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আবু ইউসুফ চৌধুরী বলেন, এসব শিশুরা অসহায়, ওদের মা থেকেও নেই। ওদের বিয়ে হবার পরে মায়ের বাড়ীতে আসার কোনো উপায় নেই। এজন্য প্রতিবছর ঈদে ওদের সাথে পরিবারের মতো একটি দিন কাটায়। এতে মনে শান্তির পরশ পাই। যতদিন বেঁচে আছি ওদের পিতার অভাব বুঝতে দিবো না।