আবিষ্কার
অজয় দাস তালুকদার
রাজ দরবার, রাজ্যের আবাদি জমির উপর যেভাবে গৃহ নির্মাণ হচ্ছে, কল কারখানা তৈরি হচ্ছে, তাতে ফসলি জমির সংখ্যা কমে যাচ্ছে । তাই মহারাজ চিন্তাভাবনা করলেন অচিরেই রাজ্যে খাদ্য শস্যের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাই তিনি খাদ্যশস্য যেন সংকট সৃষ্টি না হয় তার বিকল্প চিন্তা শুরু করলেন। রাজ্যের খাদ্যশস্য উন্নয়নের জন্য খাদ্যশস্য বিশেষজ্ঞ খোঁজ করে নিয়োগ প্রদান করলেন। খাদ্যশস্য নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ রাজ্যের উজির সাহেবের শ্যালক, উজির সাহেবের বিশেষ সুপারিশের মাধ্যমে তার এই নিয়োগ প্রদান হয়। এই কর্মকর্তা নিয়োগের পর এক বছর কেটে গেল কিন্তু রাজ্যের ফসলের কোন উন্নতি ঘটলো না। একদিন মহারাজ রাজ দরবারে কৃষি বিশেষজ্ঞকে প্রশ্ন করলেন এক বছর কেটে গেল কৃষির তেমন কোন উন্নতি দেখছি না ? কৃষি বিশেষজ্ঞ জবাব দিলেন আমি আমার কাজ করে যাচ্ছি। কিছুদিনের মধ্যেই দেখতে পাবেন আমি কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়েছি। মহারাজ বিপ্লবের বিবরণ জানতে চাইলেন। বিশেষজ্ঞ বললেন কৃষি জমিতে প্রতিটি ধান গাছ হবে নারিকেল গাছের সমান, প্রতিটি ধান হবে নারিকেলের সমান। রাজ দরবারের সবাই বাহবা দিতে লাগলেন। কিন্তু মহারাজের মাথায় হাত বিশেষজ্ঞকে প্রশ্ন করলেন আপনার আবিষ্কৃত এই চালের ভাত কত বড় হবে ? এই চাল কি রাইস কুকারে রান্না করা যাবে ? একজন মানুষের জন্য কয়টা চাল লাগবে ? এই ধান গাছ কিভাবে কাটবে ? কিভাবে মাড়াই করবে ?
প্রশ্ন শুনে এখন বিশেষজ্ঞের ঘাম ঝ–