রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চরঝিকড়ী গ্রামের মালেক মন্ডলের ছেলে শফিকুল ইসলাম মন্ডল একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বাসের মেয়েকে বিয়ে করেছিল ৫ বছর আগে। তাদের সংসারে ৮ মাসের শেফা নামের একটি ফুটফুটে কণ্যা সন্তান রয়েছে।
শফিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে নিজের স্ত্রীকে এক তরফা তালাক নিয়ে সদ্য প্রয়াত নিজের বড় ভাইয়ের স্ত্রী’র সাথে সংসার বাধতে চলছে। এ নিয়ে ওই এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের ১ ফ্রেব্রুয়ারী শফিকুল ইসলামের বড় ভাই ফরিদ মন্ডল মারা যাওয়ার ৫/৭ দিনে মাথায় স্ত্রী তামান্নাকে নানা ভাবে অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে শফিক ও তার পরিবার। সেই সাথে স্ত্রী তামান্নার পরিবারকে নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে গালিগালাজ করতে থাকে।
শফিক মন্ডলের স্ত্রী তামান্না বলেন, আমার ভাসুর মারা যাওয়ার পরে মিলাদের দিন থেকেই আমাকে পরিকল্পিত ভাবে নির্যাতন শুরু করে। আমার ভাসুরের ২টি ছেলে রয়েছে তাদের সম্পদ ধরে রাখতে লোভে পড়ে আমার ও আমার কণ্যা সন্তানকে তাড়িয়ে দেওয়ার নানা পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে শফিক ও তার পরিবার। আমার শ^শুড় শাশুড়ি অসংখ্য বার আমার সামনেই বলেছে তোকে রাখব না বড় বউকে শফিকের সাথে বিয়ে দিয়ে সংসার করাব, আমরা তোকে তাড়িয়ে দিব তুই তোর বাপের বাড়ী চলে যা।
তামান্না আরো বলেন, এলাকার অনেক মানুষ আমাকে বলেছে তোকে তালাক দিয়ে তোর ভাসুরের বউকে বিয়ে করবে শফিক আর সব জমির মালিক হবে সে। তোর তো মেয়ে তাই তোকে তাড়িয়ে দিবে। তামান্না আরো বলেন, ৫ বছর ওর সাথে সংসার করেছি কোন দিন কোন অপবাদ শুনিনি অথচ সম্প্রতি আমাকে নিয়ে নানা বাজে কথা বলতে শুরু করেছে শফিক ও তার পরিবার। আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্য করার চেষ্ঠায় লিপ্ত রয়েছে তারা ।
আমি সংসার করতে চাই আমার মেয়েকে নিয়ে। আমাদের সুখের সংসার ভেঙ্গে যাচ্ছে শুধু মাত্র জমিজমা ও অর্থের লোভে। বিয়ের সময় আমার পরিবার রাজি ছিল না। তবু আমি ওকে বিয়ে করেছিলাম।
এ ব্যাপারে পাংশা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন তামান্নার পিতা। এ বিষয়ে তামান্না ও শফিক দু পক্ষেরই পাংশা থানায় বসার কথা ছিল। কিন্তু শফিক পক্ষ যায়নি। তামান্নার অসহায় পিতা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি অসহায় আমার এই মেয়ে নিয়ে আমি কি করব তা নিয়ে আমি দুঃচিন্তায় আছি এর একটা বিধি ব্যবস্থা হওয়া দরকার।
স্থানীয় একাধীক ব্যক্তির সাথে কথা হলে তারা বলেন, শফিক মন্ডল তার ভাইয়ের বিধবা স্ত্রীকে নিজ মোটর সাইকেলে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে রেড়াতে দেখেছি আমরা। শুনেছি সে তাকে নাকি তার ভাবীকে বিয়ে করবে।
ঘটনার ব্যাপারে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি দোকানে ব্যস্ত আছি পরে কথা বলব। পরে আর কথা হয়নি তবে তিনি বলেছিলেন আমি আমার ভাবিকে বিয়ে করিনি।
এ ব্যপারে পাংশা মডেল থানার এ এস আই মো. আব্বাস উদ্দিন বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আমি তাদের ডেকেছিলাম। শফিকের পরিবার হাজির না হওয়ায় মেয়েটির পরিবারকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি।