বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফজলে শামস পরশ বলেছেন, বিএনপি-জামাত ভন্ড প্রতারকদের দল। খালেদা ও তারেকের একমাত্র বাধা বঙ্গবন্ধু কন্যা। শেখ হাসিনার জন্য তারা এ দেশের মানুষকে তাদের প্রতারণা, ভাওতাবাজী এবং দমন নিপীড়নের শিকার বানাতে পারছে না।
শনিবার রাজবাড়ী শহীদ খুশী রেলওয়ে ময়দানে রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ এ কথা বলেন।
এর আগে তিনি বেলুর ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করেন।
তিনি সাংগঠনিক পদবী শুধু সাংগঠনিক কাজেই ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ত্যাগী, পরীক্ষিত নেতাদের মধ্য থেকেই নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। কোনো মাদক ব্যবসায়ী, ভূমিদস্যু কর্মকান্ডের সাথে জড়িত কাউকে নেতৃত্ব দেওয়া হবেনা। যুবলীগ আজ মানবিক সংগঠনে পরিণত হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আপনারাই একদিন দেশকে নেতৃত্ব দেবেন। এজন্য রাজপথে স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-শিবিরকে মোকাবেলা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সকল ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করে আগামীতে ক্ষমতায় আনতে হবে। যুবলীগকে সাধারণ মানুষের মাঝে যেতে হবে।
পরশ আরও বলেন, এখন তাদের প্রচেষ্টা এদেশের মানুষকে তাদের সন্ত্রাসের শিকার বানানো। ২০১৪ সালে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ছিলো, এখন তারা পদযাত্রার নামে পথ খুজছে কিভাবে এ দেশের মানুষকে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের শিকার বানানো যায়। তারা আরো একটা জিনিস করছে, তারা লাশের রাজনীতি করতে অভ্যস্ত, তাই তারা লাশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে, লাশ সৃষ্টি করে একটা ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। তাদের বেগম খালেদা জিয়া এবং যুবরাজ তারেক জিয়া নির্বাচন করতে অযোগ্য।
সম্মেলনে সম্মানিত বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান। প্রধান বক্তা ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিল্লুল হাকিম এমপি, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কাজী কেরামত আলী এমপি, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আকবর আলী মর্র্জি, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রেজাউল হক, রাজবাড়ী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল মোর্শেদ আরুজ, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সালমা চৌধুরী রুমা, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যখোদেজা আক্তার নাসরীন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মুনির মো. শহিদুল হক রাসেল, কার্যনির্র্বাহী সদস্য হারুন অর রশীদ, ইয়াসির আরাফাত রামিম, রেজা-ই-রাব্বি প্রমুখ। এছাড়া সম্মেলনের বিশেষ অতিথি রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কাজী ইরাদত আলীর ছেলে রাকিবুল হোসেন শান্তনু।
অন্যদের মাঝে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মহম্মদ আলী চৌধুরী, রাজবাড়ী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এসএম নওয়াব আলীসহ কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম।