গোয়ালন্দে বিভিন্ন বয়সের সৌখিন ফুটবলারদের নিয়ে নিয়মিত ফুটবল চর্চা করতে উদ্যোগ নিয়েছে সু-প্রভাত গোয়ালন্দ ফুটবল একাডেমী নাম একটি সংগঠন। প্রতিদিন ফজর নামাজ শেষে শিশু-কিশোর, যুবক ও বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যাক্তিদের নিয়ে শরীর ও মনকে সতেজ রাখতেই সংগঠনটি নিয়মিত এ ফুটবল অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছে।
বুধবার ভোর সাড়ে ৬ টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গোয়ালন্দ উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত গোয়ালন্দের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম মাঠে একদল বিভিন্ন বয়সী সৌখিন ফুটবলার মাঠে খেলার পূর্বে বিভিন্ন কসরতের মাধ্যমে গা গরম করে নিচ্ছে। এসময় কথা হয় দৈনিক খোলা কাগজ ও ডেইলি অবজারভার পত্রিকার গোয়ালন্দ প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম এবং দৌলতদিয়া মডেল হাই স্কুলের সহকারি শিক্ষক ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার গোয়ালন্দ প্রতিনিধি শামীম শেখের সাথে। তারা বলেন, শরীর ও মনকে সতেজ রাখতে এবং নিয়মিত যুব সমাজকে মাঠে ফেরাতে আমরা এ বয়সে মাঠে এসে ফুটবল প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছি। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ যুগে দেশ এগিয়ে যাওয়ার এখনকার বেশির ভাগ শিশু ও যুবকরা মোবাইল নিয়ে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাত জেগে ইন্টারনেট ব্যাবহার করায় অনেক শিশু ও যুবকরা সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে পারেনা। তাদের খুব ভোরে ঘুম থেকে জেগে মাঠে আসার জন্য উৎসাহ বাড়াতে আমরা মধ্য বয়সে মাঠে আসা শুরু করেছি।
গোয়ালন্দ ফুটবল একাডেমীর চেয়ারম্যান রেজাউল মুন্সী বলেন, খুব ভোরে ঘুম থেকে জেগে উঠা শরীরের পক্ষে খুবই ভালো আর ভোরে ঘুম থেকে উঠলে সারাদিন খুব ভালো সময় কাটে এবং নিজের ব্যাক্তিগত কাজকর্ম করার সময়ও অনেক বেশি পাওয়া যায়। শরীর ও মনকে সতেজ এবং শরীরের ফিটনেস ধরে রাখার জন্যই আমাদের এমন আয়োজন। আমি আশা করি অচিরেই এই ফুটবল প্রশিক্ষণে মাঠ জুড়ে অনেক খেলোয়াড়ের সমাগম হবে।
ফুটবল প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে ফুটবলারদের উৎসাহ বাড়াতে ও প্রশিক্ষণের কসরত প্রদর্শন করতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ ফুটবল একাডেমীর চেয়ারম্যান ও সাবেক ফুটবলার মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং গোয়ালন্দ ফুটবল একাডেমীর সহ-সভাপতি ও সাবেক ফুটবলার মো. তাহাজ্জুত হোসেন তাহা প্রমুখ।