দৈনিক সংবাদ সারাবেলা ও ইংরেজি দি ডেইলি ট্রাইবুনালের প্রতিনিধি রাকিবুল ইসলাম রাফির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি উঠেছে।
ইদ্রিস আলী (২৬) নামে একব্যক্তি গত বছরের ডিসেম্বরে রাজবাড়ী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, রাকিবুল ইসলাম রাফি ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তার ২য় স্ত্রীর পিতা দেলবর বিশ্বাস সহ আরো চারজনকে সাক্ষী করে সৌদি আরব পাঠানোর নাম করে বাদী ইদ্রিস আলীর নিকট থেকে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করে এবং বাকি ১ লক্ষ টাকা ফ্লাইটের সময় দিতে হবে এমন শর্তে ৩ টি ১০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেন। আগামী ৬ মাসের মধ্যে বাদী ইদ্রিস আলীকে বিদেশে পাঠাতে হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হলেও যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় রাফি। এরপর বিষয়টি নিয়ে রাফির বসতবাড়ীতে স্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়ে একাধিকবার সালিশ করা হলেও প্রতিকার মেলেনি।
রাফির বসতবাড়ী ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল আল বাহারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি যতোটুকু জানি রাকিবুল ইসলাম রাফিকে যে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে সেই মামলার অভিযোগ সত্য না। রাফির বিরুদ্ধে এমন কোনো অভিযোগ পাইনি কিংবা আমার ইউনিয়নের কোথাও রাফিকে নিয়ে ২০২১ সাল নয় শুধু কোনো বছরেই সালিশ বিচার হয়নি।
হয়রানিমুলক মামলা দাবী করে সাংবাদিক রাকিবুল ইসলাম রাফি বলেন, সংবাদ সংগ্রহ আর আইনের কাছে দোষীকে দেখাতে যেয়েই মিথ্যা মামলার আসামি হয়েছি। এই ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার কলম দমানো যাবে না। সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে কলমযুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।
পাংশা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম রাসেল কবির বলেন, সাংবাদিক রাকিবুল ইসলাম রাফি সুনামের সঙ্গে সাংবাদিকতা করে আসছে। সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এমন হয়রানিমুলক মিথ্যা মামলা আমাদের হতাশ করেছে। আমি আশাবাদী সে ন্যায়বিচার পাবে।
পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরিদ হাসান ওদুদ বলেন, আমি রাকিবুল ইসলাম রাফিকে চিনি। তার ব্যাপারে কোনো অনৈতিক কর্মকান্ড কিংবা প্রতারণার কোনো অভিযোগ আমি কিংবা আমার উপজেলার কোনো দপ্তরের কর্মকর্তারাও পাইনি। এবিষয়ে সবার আগে সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন।