শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন

নারী দিবসে টিআইবির ৯ দফা

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০২২
  • ১৬১ Time View

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে টিআইবির পক্ষ থেকে ৯ দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে। নারী অগ্রযাত্রার গুরুত্ব ও আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২২ উপলক্ষে টিআইবির পক্ষথেকে ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের কথা বলা হয় তাহলো- টেকসই উন্নয়ন অজনের কর্মপরিকল্পনায় অভীষ্ট-৫ ও ১৬ কে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নারীর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতন বন্ধের পূর্বশর্ত হিসেবে দুর্নীতি কমিয়ে আনাসহ সরকারকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি করতে হবে। নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে জাতীয় পরিকল্পনা ২০১৩-২০২৫ পুঙ্খানুপুঙ্খ বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১ অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ও সর্বস্তরে সুশাসন নিশ্চিতের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট পথরেখা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। নারী ও শিশু নির্যাতনসহ সকল প্রকার নারী অধিকার হরণের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল প্রতিষ্ঠানকেÑ বিশেষ করে প্রশাসন, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও বিচারব্যবস্থায় দুর্নীতি প্রতিরোধ, শুদ্ধাচার, জবাবদিহিতা ও সার্বিক সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে রাজনৈতিক দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ন প্রতিরোধে রাজনৈতিক দলসমূহের আমূল সংস্কার করতে হবে। “গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (সংশোধিত) আইন ২০০৯” অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোকে নারী প্রার্থী মনোনয়ন বাড়াতে হবে। সকল রাজনৈতিক দলের কমিটিতে অন্তত এক-তৃতীয়াংশ নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। প্রতিটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, ন্যয়বিচার ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব নিশ্চিতে যথাযথ ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নারীদের সম-অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুযোগ তৈরি করতে হবে। বিশেষকরে জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠায় অন্যতম প্রতিবন্ধক দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্র পরিচালনার সকল ক্ষেত্রে শুদ্ধাচার ও দুর্নীতি প্রতিরোধকে মূলধারাভুক্ত করতে হবে। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত আয় ও সম্পদের পারিবারিক ও ব্যক্তিগত দায় সম্পর্কে নারীদের সচেতন করতে প্রচারণা জোরদার করতে হবে। নারীর নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের আইনি বিধান ও সাজা সম্পকে সচেতনতা সৃষ্টিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ভূমি ও স্থানীয় সরকার, আইনি সংস্থা ও বিচারব্যবস্থাসহ নারীরা সেবা নিতে যান এমন প্রতিষ্ঠানসমূহের সেবাÑ বিশেষ করে নারীদের জন্য প্রদত্ত সেবা সম্পর্কে জেন্ডার সংবেদনশীল পদ্ধতিতে তথ্য প্রচার করতে হবে এবং নারীদের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সকল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রাখার নিশ্চয়তাসহ একটি নারীবান্ধব অভিযোগ করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতিসহ সকল প্রকার আইনের লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কার্যকর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি বন্ধে ব্যক্তির রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থান, মর্যাদা ও প্রভাব বিবেচনা না করে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে এবং নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলাগুলোর দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি করতে হবে।- প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2022 daily Amader Rajbari
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com