রাজবাড়ী ২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে রাজনৈতিক খেলা শুরু হয়েছে। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল গঠিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা পার্টি গঠিত হয়েছে। কিন্তু এসব চেষ্ট সফল হবে না। যারা জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলো তারা জয় বাংলা ভুলতে পারে না ।
মঙ্গলবার রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মাট আইডি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। জিল্লুল হাকিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দিয়েছেন। সন্তানের চাকুরী ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা দিয়েছে। মৃত্যুর পর জাতীয় মর্যাদায় সমাহিত করার ব্যবস্থা করেছে। তাই মুক্তিযোদ্ধারা তার প্রতি সদয়। প্রধানমন্ত্রী চান দেশের উন্নয়নের স্বার্থে মুক্তিযোদ্ধারা তার পাশে থাকুক।
কালুখালী উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভার সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. সজিব । সভায় কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটো, কালুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হাসান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আকামত আলী, ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল খালেক, রতনদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাচিনা পারভীন নিলুফা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন ।
অনুষ্ঠানে ১শ ৪৮ জন মুক্তিযোদ্ধার হাতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মাট আইডি কার্ড তুলে দেয়া হয়।
অপরদিকে বালিয়াকান্দিতে একই ধরণের অনুষ্ঠানে সাংসদ জিল্লুল হাকিম বলেছেন, একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই কেবল মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে চিন্তা করেন। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর প্রধান মন্ত্রী প্রথমে ৩শ টাকা ভাতা চালু করে। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধাদের সুষ্ঠভাবে খেয়েপড়ে বেঁচে থাকার জন্য ২০ হাজার টাকা ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। থাকার জন্য দিচ্ছেন ঘর। প্রতিবছর ৪টি বোনাসের ব্যবস্থা করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারী চাকুরী প্রদানসহ নানান সুবিধা প্রদান করেছেন।
উপজেলা মিলনায়তন কক্ষে বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রহমান মিঞা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লেিগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ হান্নান, ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক উপজেলা কমান্ডার আব্দুল মতিন ফেরদৌস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন খান প্রমুখ।