বুধবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জেলা কার্যালয় রাজবাড়ীর আয়োজনে অংকুর কলেজিয়েট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া শারমিন ফাতেমা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মো. আসিফুর রহমান, নিরাপদ খাদ্য অফিসার, রাজবাড়ী, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাজমুল আলম চৌধুরী, প্রধান শিক্ষক, অংকুর কলেজিয়েট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
নিরাপদ খাদ্য অফিসার আসিফুর রহমান নিরাপদ খাদ্য আইন ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। তিনি নিরাপদ খাদ্য কি ও কেনো প্রয়োজন? খাদ্য দূষক/বিপত্তি কি কি? নিরাপদ খাদ্যের প্রয়োজনে আমাদের প্রাত্যহিক চর্চাসমূহ নিয়ে ধারণা ও দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। নিরাপদ খাদ্য উপকরণের ব্যবহার নিশ্চিতে কালীযুক্ত কাগজ, পেপার ব্যবহার না করা ও টক জাতীয় খাবার অ্যালুমিনিয়ামের পাতিলে রান্না না করার পরামর্শ প্রদান করেন। কর্তৃপক্ষের উদ্ভাবনী সেবাসমূহ, যেমন- নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে জানতে ও অভিযোগ প্রদানে ১৬১৫৫ হটলাইন নাম্বারে কল দেওয়া, রেস্টুরেন্ট-হোটেলে খাওয়ার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ-কর্তৃক গ্রেডিং প্রাপ্ত খাদ্য স্থাপনায় খাওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দেন। তিনি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তৈরিকৃত নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন টিভিসি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য প্রদর্শন করেন। তিনি সকলকে নিরাপদ খাদ্যদের বিষয়ে আরো বেশি সচেতন হওয়ার আহবান জানান এবং স্কুলের নিউট্রিশন ক্লাবের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান তাদের প্রচেষ্টা স্কুলের ভিতর ও আশেপাশে কালিযুক্ত কাগজ পরিহার করে বাঁশ কাগজ ব্যবহারের কার্যক্রম নিশ্চিত করা।
প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া শারমিন ফাতেমা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার ও এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি সকলকে এন্টিবায়োটিকের সম্পূর্ণ কোর্স শেষ করার নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি ঔষধ ছাড়াও এন্টিবায়োটিকের অন্যান্য সোর্স যা আমাদের শরীরে অনিরাপদ প্রক্রিয়ায় আসতে পারে যেমন-মাংস, মুরগি, ডিম, দুধ, দুগ্ধদানকারী মা নিয়ে আলোচনা করেন।