আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগেরসহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার। সফলতার সাথে পাঁচ বছর চেয়ারম্যনের দায়িত্ব পালনের পর বর্তমানে প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছেন। সর্বদাই মানুষের জন্য কাজ করতে চান তিনি। পরিচ্ছন্ন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবেও সুনাম রয়েছে তার। পুনরায় নির্বাচিত হলে কী করবেন, জানালেন তার স্বপ্নের কথাও। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে রোববার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে তা জমাও দিয়েছেন।
আলাপচারিতায় তিনি জানান, দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করবো। আর না পেলে তিনি যাকে মনোনয়ন দেবেন তার পক্ষেই কাজ করবো। দলকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসি। কিন্তু অসহায়, দুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে দল দেখিনা। যেখানেই দুস্থ মানুষ দেখেছি সেখানেই ছুটে গেছি। সাধ্যমত তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি।
তিনি বলেন, ঘুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি সব সময়ই জিরো টলারেন্স। কখনও ঘুষ দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেইনি। ভবিষ্যতেও দেবনা। রাজবাড়ী জেলা পরিষদের উদ্যোগে যতটুকু কাজ করা যায় করেছি। মসজিদ, মন্দির, স্কুলের উন্নয়ন করেছি। পাংশা, গোয়ালন্দ, বালিয়াকান্দি উপজেলা শহরে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য নির্মাণ করেছি। ২৫টি সরকারি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। কালুখালী ও বেলগাছিতে দুটি আদিবাসী বিদ্যালয় পরিচালনা করছেন নিজ খরচে। দুস্থ অসহায় শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। ১২৭২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছি। কিডনি ও হৃদরোগে আক্রান্ত দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক সহায়তা করেছি। করোনার দুই বছরে মানুষের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি।
আবার মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করবো। যে ক’দিন বেঁচে আছি মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই। দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে তিনি বলেন, আমার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড আর সাফল্যে দলেরই কেউ কেউ ঈর্ষাান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যা তাকে ব্যথিত করেছে।