রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের পুড়া ভিটা নামক স্থানের নারী-পুরুষ মিলে সকল বসতি মাদক ব্যবসায়ী। এমনি অভিযোগ করেন গোয়ালন্দ উপজেলার আইন শৃংখলা কমিটির মাসিক সভার সকল উপস্থিত সদস্য। বক্তারা বলেন গোয়ালন্দ উপজেলা মাদক মুক্ত করতে হলে প্রথমে পুড়া ভিটার মাদক মুক্ত করতে হবে। কারণ পুড়া ভিটার সকল প্রকার মাদক ডিলারদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
মঙ্গলবার গোয়ালন্দ উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির মাসিক সভায় বক্তারা এমন অভিযোগ করেন। উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির মাসিক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী।
সভায় গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন গোয়ালন্দ উপজেলার চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সি, গোয়ালন্দ পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল, সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলার সকল প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন।
আইন শৃংখলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি কাজী কেরামত আলী বলেন, পুলিশ ইচ্ছা করলে দৌলতদিয়া পুড়া ভিটায় সকল প্রকার মাদক মুক্ত করতে পারবে। সুতরাং আমি গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশকে অনুরোধ করি আন্তরিকতা দিয়ে দৌলতদিয়া পুড়া ভিটা মাদক মুক্ত করুন। আমি সহ সংশ্লিষ্ট সবাই আপনার সাথে থাকবে।
এমপি কাজী কেরামত আলী আরোও বলেন, লাইন্সেসধারী মদ বিক্রি করতে পারছে না। তবে অবাধে বিয়ার বিক্রি হচ্ছে দৌলতদিয়া ঘাটে। দৌলতদিয়া ঘাটের অবৈধ বিয়ার বিক্রি বন্ধ করতে হবে।
এসময় গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সি বলেন, রাজবাড়ী পৌরসভার নিজস্ব মালিকানা জায়গা দৌলতদিয়া পুরাভিটা। পৌরসভা থেকে জায়গা লিজ নিয়ে এখানে নারী-পুরুষ মিলে সকল প্রকার মাদক অবাদে বিক্রি করছে। আমাদের গোয়ালন্দ উপজেলা মাদক মুক্ত করতে হলে অবশ্যই পুরা ভিটায় প্রথমে মাদক মুক্ত করতে হবে।
গোয়ালন্দ পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম মন্ডল বলেন, দৌলতদিয়া পুরা ভিটা সহ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অবাদে বিভিন্ন প্রকার মাদক বিক্রি হচ্ছে। সিন্ডিকেডের মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে বিয়ার। মাঝে মধ্যে ছোট ছোট ব্যবসায়ী ও সেবনকারী আটক হলেও ডিলাররা থাকেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। গোয়ালন্দ উপজেলা মাদক মুক্ত করতে প্রথমে পুরা ভিটা মাদক মুক্ত করতে হবে।
এসময় গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার জানান, গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পুরা ভিটায় প্রতিদিন অভিযান করা হয়। আটকও করা হয়। কিন্ত এসকল মাদক ব্যবসায়ীরা জামিনে এসে পুনরায় মাদক ব্যবসা শুরু করেন।