উচ্চ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বসছে হাটবাজার। এতে যানজট বাড়ছে,জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ। এসব দেখার যেন কেউ নেই।
কালুখালী উপজেলার সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ জায়গা চাঁদপুর বাসষ্টান্ড। উপজেলা পরিষদ,রতনদিয়া বাজার, মদাপুর ইউনিয়ন, রতনদিয়া ইউনিয়ন সহ ২০ টি সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার এটিই একমাত্র পথ। এজন্য প্রতিনিয়তই এখানে মানুষের ভিড় লেগে থাকে। মানুষ আনাগোনার এই পথে সম্প্রতী স্থাপন করা হয়েছে মাছ,তরিতরকারীর বাজার।
এ ধরনের বাজার সৃষ্টির ফলে সরকার নির্ধারিত রতনদিয়া বাজার বন্ধ হবার পথে। এতে আগামীদিনে সরকারের ৫০ লক্ষাধিক টাকার রাজস্ব হারানোর সম্ভাবনা আছে। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী সড়ক ও জনপদ সীমানার ১০ মিটারের মধ্যে হাটবাজার ও বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মান নিষেধ। কালুখালীর চাঁদপুর বাসষ্টান্ড এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞা মানা হচ্ছে না।
এদিকে চাদপুর বাসষ্টান্ড এলাকায় বাজার সৃষ্টি হওয়ায় অরক্ষিত হয়ে উঠেছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ভাস্কর্য। প্রতিনিয়ত মানুষ এর উপর বসে বেঁচাকেনা করছে। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ভাস্কর্যের উপরে অলস সময় কাটায় ৩/৪ টি কুকুর।
তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে,কালুখালী উপজেলার সবচেয়ে ঝুকিপূর্ন জায়গা চাঁদপুর বাসষ্টান্ড বাজার থেকে সরকার কোন রাজস্ব না পেলেও সাজাহান নামক এক ব্যক্তি মাসোয়ারার বিনিময় এই বাজার চালু করেছে। তার দাপটেই টিকে আছে এই অবৈধ বাজার। এজন্য রতনদিয়া বাজার বনিক সমিতি চাঁদপুর বাসষ্টান্ড বাজার বন্ধের শত চেষ্টা করেও ফল পায়নি।
রতনদিয়া বাজার বনিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি আলমগীর হোসেন জানান, কালুখালীর রতনদিয়া বাজার ২ শ বছরের পুরনো । প্রতিবছর সরকার এই বাজার থেকে ৫০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকার রাজস্ব পায়। এরপরও বাজারটি ধ্বংষের পায়তারা চলছে। বেআইনীভাবে চাঁদপুরে হাইওয়ে সড়কের পাশে বাজার স্থাপন করে রতনদিয়া বাজারের ক্ষতি করা হচ্ছে। তিনি জানান, চাঁদপুর থেকে সরকার কোন রাজস্ব না পেলেও বিশেষ ব্যক্তি ব্যক্তিগত সুবিধা গ্রহন করে বাজারটির মৌখিক অনুমতি দিয়েছে।
সচেতন মহলের দাবী ,জনস্বার্থে এ ধরনরে বেআইনী বাজার বন্ধ হওয়া জরুরী। সচেতন মহল বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।