রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় চিহ্নিত এক অপরাধীর হাতে জিম্মি হয়ে আছে একটি মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যরা। তারা এই জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য আকুতি জানিয়েছে।
জিম্মি পরিবারটি কালুখালীর বোয়ালিয়া ইউনিয়নের চরনারায়নপুর গ্রামে বসবাস করছে। তারা প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম এর স্ত্রী, পুত্র, কনে ও নাতী-নাতনী।
মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালামের কন্যা মনোয়ারা বেগম নিরাপত্তা চেয়ে লিখিত আবেদন করেছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, ৩০ বছরআগে বোয়ালিয়া ইউনিয়নের চরনারায়নপুর গ্রামের রশীদ মুন্সীর ছেলে নান্নু মুন্সীর সাথে তার বিবাহ হয়। বিবাহের কিছুদিনের মধ্যেই মনোয়ারা বেগম বুঝতে পারে তার স্বামী অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত। তাকে বহু চেষ্টা করেও ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হন। ২০১৩ সালে তার স্বামী অস্ত্রসহ কালুখালী থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। ৮ মাস পর জামিনে এসে সে আবারও অপরাধ শুরু করে। ২০২১ সালে তার নিজ বাড়ীর আস্তানায় অভিযান চালিয়ে টাকা তৈরির মেশিনসহ বিপুল পরিমাণ জাল টাকা উদ্ধার করে। মনোয়াররা বেগমের ২ সন্তান সাবনাজ ও সাকিব। এরা রতনদিয়া রজনীকান্ত মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী। পিতার অত্যাচারের ভয়ে তারা ঘর থেকে বের হতে পারেনা। ফলে স্কুলে যাওয়া হচ্ছেনা। নান্নু প্রতিনিয়ত স্ত্রী, পুত্র, কনে ও সিরাজুলকে ভয় দেখাচ্ছে।