রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মার বিভিন্ন স্থানে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী একটি চক্র। উত্তোলিত বালু বিক্রি করে চক্রটি হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
দৌলতদিয়া ইউনিয়নের মূল পদ্মা নদীর চর কর্ণেশন কলা বাগান এবং মরা পদ্মা নদীর ক্যানাল ঘাট এলাকার মধ্যে এ ড্রেজারগুলো চলছে। এতে করে নদীর দু’পাশে থাকা দুটি গ্রামের কয়েকশ পরিবার ও রাস্তাঘাট মসজিদ সহ ফসলি জমি ধ্বসে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
জানা গেছে, চর কর্ণেশন কলাবাগান এলাকায় ইসমাইল হোসেন, গফুর মন্ডল পাড়ায় লোকমান ও আবজাল, সৈদাল পাড়ায় মুজা শেখ ও আলামিন, উজানচর নতুন ব্রিজ এলাকায় ইসমাইল হোসেন ও মনা, দেবগ্রাম আতর চেয়ারম্যান বাজার এলাকায় মিনুসহ বেশ কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলন করছে।
ক্ষতিগ্রস্থ রওশন আরা বেগম, রবিউল শেখ,তোফাজ্জল হোসেনসহ কয়েকজন বলেন, নদী থেকে যেভাবে বালি ও মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে, তাতে যে কোন সময় কয়েকটি রাস্তা, বাড়ী-ঘর, দোকানপাট ও গাছপালা নদী গর্ভে চলে যেতে পারে। তাদেরকে বারবার নিষেধ করলেও শুনে না। উল্টে ভয় ভীতি দেখায়। সেইসাথে তারা সরকারী কাজের জন্য বালু উত্তোলন করছে বলেও মিথ্যা কথা বলে। মূলত তারা বালু-মাটি তুলে ব্যাবসা করছে।
বালু ব্যবসায়ী কাদের ফকির ও মুজা শেখ স্বীকার করে বলেন, তারা অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন চালাচ্ছেন । প্রশাসনের কোন অনুমতি নেই। তবে জমির মালিকদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তারা মাটি তোলেন বলে দাবি করেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন, নদীতে ড্রেজার মেশিন চালানোর জন্য কাউকে কোন অনুমতি দেয়া হয়নি। সরকারি কাজে বালুর প্রয়োজনের কথা বললে সেটাও মিথ্যা। এ সকল অবৈধ ড্রেজিংয়ের বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।