রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ একযুগ পর অপারেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বুধবার সকাল ১১ টার দিকে আলমগীর হোসেন নামে এক রোগীর টিউমার সফল অপারেশনের মধ্য দিয়ে অপারেশন থিয়েটারের শুভ সূচনা করা হয়। এতে রোগী-রোগীর স্বজন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উভয়ই খুঁশি।
অপারেশন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ও সার্জারীতে অভিজ্ঞ ডা. শাহ্ মুহাম্মদ শরীফ। তার সহযোগিতায় ছিলেন নার্স তত্ত্বাবধায়ক মৃদুলা রানী বিশ্বাস, মুক্তা সরকার, রমা রানী।
রোগী আলমগীর হোসেন বলেন, আমি দৌলতদিয়া ঘাটে মাছের ব্যাবসা করি। আমার হাতের আঙুলে টিউমারের মতো হয়ে বড় আকার ধারন করে। একসময় হাতে জ্বালা পোড়া শুরু হয়। এই কারণে আমার শারীরিক নানা সমস্যা ছিল। পাশের বাড়ির একজনের পরামর্শে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হই। ভর্তি হওয়ার পর থেকেই ডা. শাহ্ মুহাম্মদ শরিফ আমাকে মানসিকভাবে সাপোর্ট দিয়েছেন অপারেশন করাতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। ডাক্তারদের সেবা ও কার্যক্রম দেখে আমি খুবই সন্তুষ্ট। বর্তমানে আমি সুস্থ আছি। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তারা আমার এ অপারেশন করে দিয়েছেন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ শাহ্ মুহাম্মদ শরীফ বলেন, মানবদেহের বহিরাংশের যে কোন টিউমার,গুটি,চাকা, স্তন টিউমার, সিস্ট, গ্যাংলেয়ন,ফিশার (গেজ), ফিস্টুলা (ভগন্দর),পাইলস, ডারময়েট টিউমার, হার্ণিয়া, হাইড্রোসিল, লাইপমা, ঠোটকাটা, ছোটখাট জন্মগত ত্রুটির অপারেশন এখন থেকে এ হাসপাতালেই করা হবে। এতে আপাতত কোন অর্থ খরচও লাগবে না। পরবর্তীতে এখানে আমাদের বড় ধরনের অপারেশনের প্রস্তুতিও রয়েছে। আমি সরকারি এ সেবা গ্রহণে এলাকাবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ আমিরুল হক শামীম বলেন, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালে এখন থেকে ছোট খাটো সকল ধরনের অপারেশন করতে পারব। প্রয়োজনীয় চিকিৎসকসহ সে প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। এখানে গাইনী ডাক্টার নেই। একজন গাইনী ডাক্তার আসলে সিজারের অপারেশনও করা হবে।