অপহরণ ও প্রতারণার অভিযোগে রাজবাড়ী সদর থানায় পাল্টপাল্টি মামলা হয়েছে। শনিবার অপহরণ মামলাটি দায়ের করেছেন রাজধানী ঢাকার ইন্টারনেট ব্যবসায়ী মো. আলী সিদ্দিকী। এ মামলার আসামিরা হলেন রাজবাড়ী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিনোদপুর এলাকার বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান পলাশ, শহরের ভবানীপুরের বাসিন্দা আশিক মিয়া, বিনোদপুরের মারুফ আঞ্জুম নিলয় এবং ধুঞ্চির সাগর শেখ।
অপরদিকে কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান পলাশের স্ত্রী শাম্মী আক্তার বাদী হয়ে মো. আলী সিদ্দিকীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একই দিন প্রতারণা মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার অন্য দুই আসামি হলেন রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা বাবুল আক্তার এবং কুষ্টিয়ার চৌড়হাস এলাকার বাসিন্দা মীর আবু সাবেদ।
মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীর মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, বিবাদীদের সাথে ইন্টারনেট ব্যবসার লেনদেন থাকায় তার দুইজন ব্যবসায়িক সহযোগিকে নিয়ে মাইক্রোবাসযোগে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজবাড়ী শহরের এফএন টাওয়ারের কাছে পৌছানো মাত্র পলাশ দলবল নিয়ে তাদের উপর আক্রমণ করে। তাদেরকে টেনে হিচড়ে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে মারধর করে এফএন টাওয়ারের নীচে নিয়ে আটকে রাখে।
বিবাদীরা তাদের পাওনা টাকা ফেরত চাইলে তা দিতে স্বীকার করি। তারপরও তাদেরকে বেদম প্রহার করা হয়। এর মধ্যে তিনি ফোনে বিষয়টি তার ভাইকে জানান। তার ছোট ভাই বিষয়টি রাজবাড়ী সদর থানাকে অবগত করে। শনিবার দুপুরে পুলিশ আসছে এমন খবর পেয়ে বিবাদীরা তাদেরকে সেখান থেকে ভবানীপুর গ্রামের একটি ঘরে নিয়ে আটকে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে।
কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান পলাশের স্ত্রী শাম্মী আক্তার প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করেছেন, বিবাদী মো. আলী সিদ্দিকীসহ অন্য আসামিরা তার স্বামী মাহবুবুর রহমান পলাশকে ইন্টারনেট ব্যবসার ডিলার নিয়োগের প্রস্তাব দিলে তার স্বামী তাতে সম্মত হন। ২০ লাখ টাকা চুক্তিতে ৫০% টাকা অগ্রিম দিলে কাজ শুরু করবে বলে জানায় বিবাদীরা। তাদের কথায় সম্মত হয়ে তার স্বামী পলাশ গত ৫ এপ্রিল তারিখে ছয় লাখ টাকা এবং ১৯ মে আরও চার লাখ টাকা প্রদান করেন। তারপরও বিবাদীরা কাজ শুরু না করে আরও টাকা দাবি করতে থাকে। গত ১৩ জুন তারিখে তার স্বামী বিবাদীদের আরও দুই লাখ টাকা দেন।
তারপরও তারা কাজ শুরু না করায় তার স্বামী পলাশ তাদের কাছে এর কারণ জানতে চাইলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি (তদন্ত) ইফতেখারুল আলম প্রধান জানান, এক পক্ষ অপহরণ মামলা এবং অপর পক্ষ প্রতারণা মামলা দায়ের করেছে রাজবাড়ী থানায়। দুটি মামলাই রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে।