সাম্য ও মানবতার কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছেন নাট্যনন্দন রাজবাড়ী। সোমবার রাত ১০টায় অনলাইন প্লাটফর্মে ভার্চুয়ালি ‘বিপ্লবী নন্দন’ উদযাপিত হয়। অনুষ্ঠানে নজরুল সাহিত্য ও দর্শন নিয়ে আলোচনা করেন মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি সংসদের সভাপতি কবি সালাম তাসির। তিনি বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের এমন এক শক্তি, যিনি তার কলম দিয়ে সাহিত্যের সকল পর্যায়কে সমৃদ্ধ করেছেন। কবিতা, গান, গল্প, নাটক থেকে শুরু করে প্রবন্ধ; সর্বত্র ছিল তার সৃজনশীল প্রতিভার দীপ্ত ছাপ। শুধু সাহিত্যেই নয়, ব্রিটিশ শাসনাধীন উপমহাদেশে তিনি ছিলেন মুক্তির এক প্রবল কণ্ঠস্বর। তাঁর লেখা যুগিয়েছে প্রেরণা, সাহস এবং বিদ্রোহের ভাষা। তিনি শোষণের বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন অস্ত্রের মতো। যদি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁর কলম চলত, তাহলে বাংলা সাহিত্যে তাঁর সমতুল্য কেউ হতেন না। নজরুল ছিলেন একাধিক ভাষা, ধর্ম ও সংস্কৃতির সেতুবন্ধনকারী। তাঁর সাহিত্যিক ও বৈপ্লবিক ভূমিকা আজও আমাদের পথপ্রদর্শক। তাঁর কলম আজও জীবন্ত চেতনায় অনুরণিত।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের গান পরিবেশন করেন ক্ষুদে শিল্পী তনুশ্রী রায় ও হৃদিতা মন্ডল। সমাপনী গান পরিবেশন করে রোদেলা মন্ডল।
সংগঠনের পরিচালনা পর্ষদ সদস্য আতাহার আলী সুমন শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, শৈশবে পিতৃহীন হয়ে দারিদ্র্যের মাঝে বড় হন নজরুল এবং লেটো দলে কাজ করেন। ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে বিশ্বদৃষ্টি লাভ করেন। যুদ্ধ শেষে সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করে বিদ্রোহী, বিষের বাঁশি প্রভৃতি রচনা করেন।
নাট্যনন্দনের পরিচালনা প্রধান বাবু তপন কুমার দে’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উচ্ছ্বাস কুমার ঘোষ। অনুষ্ঠানের সার্বিক কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করেন নয়ন কুমার বিশ্বাস ও পিয়াস কর্মকার।