‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি, মানুষকি পেতে পারে না’- গানের মর্মার্থ বুঝে তা মনে-প্রাণে লালন করে স্ব-ইচ্ছায় পথে পথে ঘুরেফিরে বেড়ানো মানসিক রোগী এবং দৌলতদিয়া ঘাটে আগত অসহায় মানুষের খাবার যোগান দেন রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ১ নং ওয়ার্ড শাহাদৎ মেম্বার পাড়ার বাসিন্দা মো. সুলতান ফকির। এমন যুগে মানসিক রোগী ও অসহায় মানুষের প্রতি এমন দুর্লভ ও অকৃত্রিম ভালোবাসা খুবই দুষ্কর।
দৌলতদিয়া আজমেরী হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের সামনে প্রায়ই দেখা যায়, সুলতান ফকির দৌলতদিয়া ঘাটে আগত মানসিক রোগী এমনকি অসহায় মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে। তিনি নিজেই হোটেল থেকে ভালো মানের খাবার নিয়ে মানসিক রোগী ও ক্ষুধার্ত অসহায় মানুষের খাবার খেতে সহযোগিতা করছেন। মানসিক রোগী ও ক্ষুধার্ত কাউকে দেখামাত্রই আদর করে বসিয়ে তার মুখে এক লুকমা অন্ন তুলে দিতে একটুও কৃপনতা করেন না তিনি। মনের খুশিতে মানসিক রোগীর চাহিদা অনুযায়ী নিজেই খাবার পরিবেশন করেন সুলতান।
গোয়ালন্দে দৌলতদিয়া এলাকাটি ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হওয়ায় বিভিন্ন জেলার নানান মানুষের আগমন ঘটে এ উপজেলায়। ফলে এখানে ভালো মানুষের পাশাপাশি খারাপ মানুষের আগমনও ঘটে।
দৌলতদিয়ার চায়ের দোকানদার মো. নজরুল ইসলাম জানান, অনেকেই সাহায্যের জন্য আসে। অনেককেই সাধ্যমত সাহায্য করি। সুলতান ভাই একজন মানবিক মানুষ। অসহায় মানুষকে মাঝে মধ্যেই সাহায্য করেন। মাঝে মধ্যেই হোটেল থেকে খাবার খাওয়ান। এমনকি অনেক সময় দেখেছি তিনি নিজের বাড়ি থেকে ভাত এনে অসসায় মানুষ ও মানসিক রোগীদের খেতে দেন।
সুলতান ফকির জানান, দৌলতদিয়া ঘাটে মাঝে মধ্যেই অনেক ধরনের মানসিক রোগী, অসহায় মানুষ, দালাল চক্রের ফাঁদে পরে অনেকেই বিপদগ্রস্থ হয়ে খাবার টাকা এমনকি বাড়িতে যাওয়া এবং খাবার খাওয়ার মতো টাকা থাকে না। যখনি এমন কাউকে দেখি সাধ্যমত চেষ্টা করি তাদের পাশে দাঁড়ানোর। যাদের খাবার প্রয়োজন তাদের খেতে দেয় আর যাদের গন্তব্যে পৌঁছনোর দরকার তাদের বাড়িতে যেতে সহযোগিতা করি। তিনি আরও বেলেন, এমন কাজ কোনো কিছু পাওয়ার জন্য করি না। অসহায় মানুষ ও মানসিক রোগীকে খাওয়াতে এক প্রকার ভালো লাগার তাগিদ থেকেই করি। দোয়া করবেন জেনো এভাবেই মানুষের পাশে থাকতে পারি।