‘শিল্প স্পর্শে প্রস্ফুটিত হোক নন্দন কুঁড়ি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে শিশু-কিশোর মধ্যে নাট্য সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার লক্ষ্যে নাট্যনন্দনের যাত্রা শুরু। বাঙালি জাতির বাঙালিয়ানা উৎসব পহেলা বৈশাখ। এই পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে নাট্যনন্দনের ৩য় প্রযোজনা গ্রামীন কৃষ্টি ও সংস্কৃতি মধ্য দিয়ে তুলে ধরা হয় গ্রামীণ বিয়ের চিত্রপট নাটক ‘ময়নামতি’। নাটকটিতে সাধারণ মানুষের জীবন যাপন ও আড়ংকে কেন্দ্র করে শুরু হয় নাটক ময়নামতি। এক হতদরিদ্র বাবার সুন্দরী কন্যার বিয়েকে কেন্দ্র করে ঘটক তার লাভের স্বার্থে ছেলের পরিচয় গোপন করে বিয়ে দেন। বিয়ে বাড়ির হাসি তামাশার মধ্য দিয়ে উঠে আসে দেনমোহর ও যৌতুকের মত খারাপ কিছু বিষয়। আধুনিক সমাজকে সচেতন করতে পুরনো বিষয়বস্তুকে শিশু কিশোরদের মাধ্যমে মানুষের মানবিকতার জাগ্রতের আহ্বান জানান।
নাটকটি রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন উচ্ছ্বাস কুমার ঘোষ। আবহ সঙ্গীত পরিকল্পনা তপন কুমার দে, মঞ্চ ব্যবস্থাপনায় নয়ন কুমার বিশ্বাস, তত্ত্বাবধানে আতাহার আলী সুমন ও পিয়াস কর্মকার, মঞ্চ সহযোগিতায় : মো. সাগর ও মেহেদি সাজ্জাদ। অভিনয়ে অংশ নেয় আদি, দেব, মুগ্ধ, মিশাল, শরিফ, প্রিতম, সজল, সোহানা, সাদিয়া, রিংকি, সোহাগ ও কিশোর। নাটকটির উদ্বোধনী ও মঞ্চায়ন হয় গত পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণ উদযাপন পর্ষদ এর আয়োজনে আজাদী ময়দান ডাক্তার সানজিদা খাতুন মঞ্চে। দ্বিতীয় প্রদর্শনী বৈশাখ উদযাপন পর্ষদ রাজবাগী ১নং রেলগেট বটতলা মঞ্চে এবং বৈশাখের সর্বশেষ প্রদর্শনী গত ১৫ এপ্রিল রাজবাড়ী জেলা প্রশানের আয়োজনে শহীদ খুশি রেলওয়ে ময়দানে।