আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবের দিন, পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর দিন। এ দিনটি শুধু একটি তারিখ নয়; এটি বাঙালি জাতির হাজার বছরের শোষণ, বঞ্চনা ও অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এক ঐতিহাসিক স্বাক্ষর। দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষা ও রক্তঝরা পথ বেয়ে আমরা অর্জন করেছি আমাদের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের এ দিনে এক দুঃসাহসিক অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল। লাখো মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে, শোষকের শৃঙ্খল ভেঙে ছুটে গিয়েছিলেন মুক্তির পথ ধরে। এ দিনে আমরা স্বাধীনতার লক্ষ্যে চূড়ান্ত সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছিলাম, যা দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের বিজয় এনে দেয়। জাতির এ ঐতিহাসিক অর্জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ও সীমাহীন সাহসিকতার ফল।
ঐতিহাসিক এ দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সে সব অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাঁদের আত্মত্যাগে উদিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতার সূর্য। সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করি ত্রিশ লক্ষ শহিদ এবং দুই লক্ষ নির্যাতিতা মা-বোনকে। যারা স্বজন হারিয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন তাদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা। আজকের এ দিনে রাজবাড়ী জেলার সকল শহিদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর শ্রদ্ধা।
স্বাধীনতা বাঙালি জাতির মহত্তম অর্জন। রক্ত আর ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীনতা আমাদের শুধু একটি ভূখন্ড দেয়নি, দিয়েছে স্বপ্ন দেখার সাহস, দিয়েছে আত্মমর্যাদার শক্তি। স্বাধীনতা মানে শুধু একটি দেশ নয়, এটি এক অবিনাশী চেতনা, একটি আদর্শ, যা আমাদের সামনের পথচলায় আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে। স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ গড়া এবং এ দেশের মানুষের উন্নত জীবনযাত্রার সুযোগ তৈরি করা।
অন্তহীন অনুপ্রেরণা ও গৌরবের এ মাহেন্দ্রক্ষণে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে রাজবাড়ীবাসীসহ দেশবাসীর সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করছি।
সুলতানা আক্তার
জেলা প্রশাসক
রাজবাড়ী