রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামে সাথী আক্তার (২৯) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। সাথী একই গ্রামের রুবেল খার স্ত্রী ও পাশর্^বর্তী বরাট ইউনিয়নের মধুরদিয়া গ্রামের বিশু মন্ডলের মেয়ে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে স্বামী রুবেল খা। সাথীর বাবার বাগিড়র দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের ছোট বোনের স্বামী আব্দুল কাদের জানান, বিয়ের পর থেকে সাথী ও তার স্বামী রুবেলের মধ্যে দাম্পত্য কলহ লেগেই ছিল। গত শুক্রবার তার শ্বাশুরবাড়িতে একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেদিনও তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়। যেকারণে ওই অনুষ্ঠানে রুবেল একাই গিয়েছিল। রুবেল তার শ্বাশুর- শাশুড়িকে হত্যার হুমকি দিয়ে বাড়ি ফিরে জানায়, সাথী হারপিক খেয়েছে। এখন সদর হাসপাতালে আছে। এসময়ও সে তার শ্বাশুর-শাশুড়িকে হত্যার হুমকি দেয়। তার শ্বাশুর সদর হাসপাতালে গিয়ে সাথীকে না পেয়ে রুবেলের বোনকে ফোন দেয়। রুবেলের বোন জানায় তারা ফরিদপুরে আছে। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার শ্বাশুর যাওয়ার পর সাথীকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পায়। সাথীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। পথে সাথীর অবস্থা আরও অবনতি হলে কাছেই একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক সাথীকে মৃত ঘোষণা করেন। সাথীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি পুলিশকে জানানোর পর পুলিশ সাথীর মরদেহ উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত করে। শুক্রবার বিকেলে তার শ্বাশুরবাড়ি মধুরদিয়া গ্রামের সাথীর মরদেহ দাফন করা হয়। সাথীকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার।
এবিষয়ে কথা বলার জন্য রুবেল খার মোবাইল ফোনে বহুবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। মেসেজ পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি।