রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার নিরব হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে। এ ঘটনায় মিজান নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে নিরবকে হত্যা করেছেন চাচা। রবিবার জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার শামিমা পারভীন।
পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৩ মার্চ কালুখালী পদ্মা নদী থেকে নীরব নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় হত্যার সাথে জড়িত মিজানকে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে আসামির নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিজান কালুখালী উপজেলার বাগলপুর গ্রামের টেন্ডু শেখের ছেলে।
গ্রেপ্তার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, নিহত নিরবের আপন চাচা নেহাদ আলী ওরফে লিয়াকত শেখ ও কাইয়ুম শেখের মধ্যে দুই বছর আগে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। এ দ¦ন্দ্বের ঘটনায় নিরবের বাবা জিয়ারুল শেখ নেহাদের পক্ষ নেয়। আর এ কারণে কাইয়ুম আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত্র হয়। আর এই রাগেই কাইয়ুম শেখ প্রতিহিংসাবসত প্রথমে নিরবকে অপহরণ করে। তারপর মুক্তিপণ চায়। একপর্যায়ে নিরবকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) দেবব্রত সরকার, কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ জাহেদুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজুল ইসলমাসহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৩ মার্চ কালুখালী উপজেলার পদ্মা নদীর কোল হতে নিখোঁজের তিন দিন পদ্মা নদীর নিরব নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় নিহতের বাবা মো. জিয়ারুল শেখ বাদী হয়ে কালুখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।