রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের হাউলি জয়পুর গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রী সালমা বেগম হত্যায় অভিযুক্ত হেমায়েত উল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে রাজবাড়ী সদর থানার পুলিশ। বুধবার রাত আটটার দিকে নোয়াখালী জেলার চরজব্বর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে নোয়াখালীর চর জব্বর থানার দক্ষিণ চর ক্লার্ক গ্রামের মো. আহসানউল্লাহর ছেলে। পরকীয়া প্রেমে টানাপড়েনের কারণে সালমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তীতে সে জানিয়েছে।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) শরীফ আল রাজীব জানান, সালমা হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার পর পুলিশ হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে। সালমার মোবাইল নম্বর থেকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হেমায়েতকে শনাক্ত করা হয়। এছাড়া সালমার ছেলে সাদিকও হেমায়েতকে দেখেছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছিল। এরপর বুধবার রাতে নোয়াখালীর চরজব্বর থানা পুলিশের সহায়তায় সেখান থেকে হেমায়েতকে গ্রেপ্তার করে রাজবাড়ী ্আনা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে পুলিশকে জানিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে সালমার সাথে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর আগেও বেশ কয়েকবার তাদের দেখা সাক্ষাৎ হয়েছে। ঈদের দিন গভীর রাতে সে সালমার ঘরে যায়। ওই সময় সালমার দুই শিশু সন্তানকে সে ঘুমিয়ে থাকতে দেখেছে। সে আর সালমা বসে যখন গল্প করছিল তখন সালমার স্বামী সৌদি আরব থেকে ফোন করে। সালমার সাথে তার স্বামীর মৃদু কথা কাটাকাটি হয়। তাদের ফোনালাপ শেষ হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে সালমার সাথে তার ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে সালমাকে। যাওয়ার আগে সে বাইরে থেকে ঘর আটকে রেখে যায়। এর আগে হেমায়েত সালমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে বলে পুলিশকে জানিয়েছে সে।
গত মঙ্গলবার সকালে রাজবাড়ী সদর থানার পুলিশ সালমার নিজ শোবার ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।