রাজবাড়ীতেও ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৩০জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামী ১৫মার্চ শনিবার জেলার পাঁচ উপজেলায় ১ হাজার ৬৬টি কেন্দ্রে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে ওরিয়েন্টশন কর্মশালায় এ তথ্য দেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবছর জেলার ৪২টি ইউনিয়নের এক হাজার ৬৬টি কেন্দ্রে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে অস্থায়ী কেন্দ্র ১ হাজার ২৪টি, পৌরসভার কেন্দ্র ৩৬টি ও স্থায়ী কেন্দ্র রয়েছে ৬টি। এবছর প্রতিটি কেন্দ্রে ২ জন করে মোট ২ হাজার ১৩২ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে। মোট শিশুর মধ্যে ৬ থেকে ১১মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ১৯ হাজার ১০০ ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৩০ জন। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে খাওয়ানো হবে নীল রঙের একটি ক্যাপসুল ও ১২ থেকে ৫৯ মাসের বয়সী শিশুকে খাওয়ানো হবে লাল রঙের একটি ক্যাপসুল। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।
রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন এস এম মাসুদ বলেন, শিশুদের রাতকানা রোগ প্রতিরোধ, শিশুদের সঠিকমত বেড়ে ওঠাসহ কয়েকটি কারণে শিশুদের এই ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। যদি কোন শিশু এই ক্যাপসুল খাওয়া থেকে বাদ পরে তাহলে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সদর হাসপাতালসহ নির্দিষ্টস্থানে নিয়ে গেলে পরেও এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আমাদের লক্ষ্য কোন শিশু যেন এই ক্যাম্পেইন থেকে বাদ না পড়ে।
ওরিয়েন্টশন কর্মশালায়, সিভিল সার্জন এসএম মাসুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রহমত আলী, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী আব্দুল কুদ্দুস বাবু, সাবেক সভাপতি অ্যড.খান মোহাম্মদ জহুরুল হক, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হিরণ, সহ-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।