‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন নারী ও কন্যার উন্নয়ন’ প্রতিপাদ্য ধারণ করে রাজবাড়ীতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও অসহায় নারীদের শুভেচ্ছা হিসেবে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এনজিও ফেডারেশন ও সচেতন নাগরিক কমিটি সনাক এর সহযোগিতায় জেলা প্রশাসক, জাতীয় মহিলা সংস্থা ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এই সভার আয়োজন করে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. তারিফ-উল-হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আজমীর হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আবু রাসেল, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর সভাপতি প্রফেসর নুরুজ্জামান, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক দেবাহুতি চক্রবর্তী, মহিলা সংস্থার জেলা কর্মকর্তা আবু জাফর, জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ক্রিস্টিনা মারিও রেখা, জেলা এনজিও ফেডারেশনের সভাপতি লুৎফর রহমান, জেলা জীবিকা মহিলা উন্নয়ন সংস্থার সভানেত্রী শেহনাজ ইসলাম জুলিয়া, জেলা মাতৃভূমি মহিলা উন্নয়ন সংস্থার সভানেত্রী আশরাফুন্নেছা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দেশের আর্থসামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন এমনকি প্রশাসনিক ভাবেই নারীরা আজ ক্ষমতায়নের দিক দিয়ে প্রায় সমানতালে চলে এসেছে। আজ আমাদের গার্মেন্টস সেক্টরের মাধ্যমে যে বৈদাশিক মুদ্রা আয় হয় তার পেছনে নারীর অবদানই বেশি। ঘরে ও ঘরের বাইরে নারীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে। এখনো সমাজে নারীদের অবদান অস্বীকারের একটি প্রবণতা রয়েছে। তবে নারীরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হলে সমাজে তাদের মূল্যয়ান করা হয়। তাই অন্যের উপর নির্ভর করে নয়, নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে এবং নিজেকে স্বাবলম্বী হতে হবে। এর বিরুদ্ধে সকল বাধা অতিক্রম করতে হবে। তারা আরও বলেন, মাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বোনের বাড়িতেও নারীরা নিরাপদ নয়। এটি একটি সামাজিক অবক্ষয়। নারীরা সমাজে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এর জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন রয়েছে। থানায় নারী ও শিশুদের জন্য পুলিশ বিশেষভাবে কাজ করছে। উন্নত দেশগুলোতে নারীরা মধ্যরাতেও প্রয়োজনে রাস্তায় চলাচল করছে সেখানেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজন হয় না। আজ আমাদের দেশে এই পেক্ষাপট একটু ভিন্ন। আমাদের সেই অবস্থান তৈরি করে নিতে হবে। এসময় সামাজিকভাবে নারীদের আরও সচেতন হতে আহবান জানান তারা।
পরে জেলার ৪০ জন অসহায় নারীকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়।