রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে আলোচিত ছাত্রদল নেতা ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ আপন দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানার পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া সোহরাব মন্ডল পাড়া এলাকার রমজান ফকিরের ছেলে রিপন ফকির (২৬) ও মমিন ফকির (২৭)।
পুলিশ জানায়, বুধবার রাত ১০ টার দিকে দৌলতদিয়া ৭নং ফেরীঘাট এলাকা থেকে প্রধান আসামী রিপন ফকিরকে এবং ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার খলিল মন্ডলের হাট থেকে মামরার ৩ নম্বর আসামী মমিন ফকিরকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ আরোও জানায়, আসামী রিপন ফকিরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, পূর্ব থেকে মাটির ব্যবসা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল। সোহরাব মন্ডল পাড়া আক্কাস আলী হাই স্কুল এলাকার সিনিয়র ও জুনিয়রদের মধ্যে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। রিপন ফকির ওই অনুষ্ঠানে ফারুক সরদারকে দাওয়াত না করায় তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ফুটবল খেলার খরচের টাকা উত্তোলনের জন্য ফুটবল খেলোয়াররাসহ উত্তর দৌলতদিয়া পোড়াভিটা এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা উত্তোলন করে তারা। সে বিষয়েও রিপন ও ফারুক সরদারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় উভয় পক্ষের পরিবারের লোকজন ও আত্মীয় স্বজন সহ সমাধানের চেষ্টা করে। ১২ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে নিহত ফারুক সরদার ১৫/২০ জন বন্ধু সহ আসামী রিপন ফকিরের দৌলতদিয়া যৌনপল্লির ভিতরে থাকা দোকানে আক্রমন করে। রিপন ফকির কোন উপায়ান্তর না পেয়ে তার দোকানে থাকা ডাব কাটার ছোল হাতে নিয়ে ফারুক সরদারের সাথে থাকা আল আমিনকে কোপ দেয়। আল আমিন কোপ খেয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। ফারুক সরদার ও আসামী রিপন ফকিরের মধ্যে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে রিপনের হাতে থাকা ডাব কাটা সোল দিয়ে ফারুক সরদারকে এলোপাথারী কুপিয়ে দৌঁড়ে পোড়াভিটাস্থ বাঁশের সাকুর নিকট সোল পানিতে ফেলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে রিপন আরো জানান, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ডাব কাটার ছোল পোড়াভিটার সাকুর সামনে পানির মধ্যে আছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরীফ আল রাজীব জানান, আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।