রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদীতে মা ইলিশ রক্ষার অভিযানকালে যৌথ বাহিনী, যাত্রীবাহী একটি ট্রলার হতে ২ টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার এবং এসময় ট্রলারের চালকসহ ৪ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৫ টার দিকে উপজেলার দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের অদূরে মাঝ পদ্মায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ বিষয়ে রাত ৭ টার দিকে দৌলতদিয়া ৬ নং ফেরিঘাটে প্রেস ব্রিফিং করে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র।
ইউএনও জ্যােতি বিকাশ চন্দ্র জানান, মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য উপজেলা প্রশাসন, রাজবাড়ী সেনা ক্যাম্পের একটি দল, গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ ও দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশের সমন্বয়ে একটি যৌথ বাহিনী শুক্রবার প্রায় সারাদিন নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন। বিকাল ৫ টার দিকে উপজেলার অন্তারমোড় খেয়াঘাট থেকে দেবগ্রামের রাখালগাছি চরের উদ্দেশ্যে যেতে থাকা একটি যাত্রীবাহী ট্রলারকে সন্দেহবশত তারা থামিয়ে তল্লাশি চালান। এসময় ট্রলারের মাঝে লুকিয়ে রাখা কালো রংয়ের একটি ব্যাগের মধ্য হতে একটি বিদেশী পিস্তল ও বড় একটি একনলা বন্দুক উদ্ধার করা হয়। সেই সাথে দুটি অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার দায়ে ট্রলারের চালকসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলো রাজবাড়ী সদর উপজেলার কাচরন্দ গ্রামের আবু বক্কার মুন্সির ছেলে মো. জীবন্ত মুন্সি, আজাদ শেখের ছেলে নাছির উদ্দিন শেখ, পাবনা জেলার ধারাই এলাকার রহমত সরদারের ছেলে রশিদ সরদার ও ঢালার চর এলাকার আনসার মোল্লার ছেলে খায়রুল মোল্লা। এদের মধ্যে রশিদ সরদার ট্রলারের চালক। তাদের বিরুদ্ধে দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই সগির মিয়া বাদী হয়ে নৌ-ফাঁড়িতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ব্রিফিংকালে আরো উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শফিকুল ইসলাম, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম, দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই সগির মিয়া, রাজবাড়ী সেনা ক্যাম্পের কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ এবং গোয়ালন্দ উপজেলা অফিসের কর্মকর্তা বৃন্দ।