ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজবাড়ী জেলা শাখার উদ্যোগে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে রেলগেট শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি চত্ত্বরে এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির ও শায়েখে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম।
তিনি বলেন, পুঁজিবাদী অর্থনীতি মানুষকে মুক্তি দিতে পারে না। ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা হলে সকল ধর্মের মানুষের অধিকার বাস্তবায়ন হবে। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রত্যেক ভোটারের ভোটের মূল্যায়ন হয়। কোনো ভোট বিফলে যায় না। নির্বাচনে যে দল মোট প্রদত্ত ভোটের যত শতাংশ পাবে, সেই অনুপাতে সংসদে প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে। বিশ্বের অনেক দেশে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতি অনুসরণ করছে। অনেক আগেই আমরা প্রস্তাব রেখেছিলাম। আমরা ধারাবাহিকভাবে এ দাবিতে আন্দোলন করে আসছি দীর্ঘদিন থেকে। বিগত ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকে নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের দাবি নিয়ে মাঠে কাজ করছে। এটা করলে ছোট দলগুলো আর বৈষম্যের শিকার হবে না। পিআর সিস্টেমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে মনোনয়ন বাণিজ্য ও দুর্নীতিও থাকবে না। প্রতিটি ভোটের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা হবে। মানুষের ভোটের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা হলে দেশ গড়ায় তারা আরও উৎসাহিত হবে।
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ রাজবাড়ী জেলা শাখার সভাপতি মুফতী শামসুল হুদা। তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে মানুষ দিশেহারা। সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করে জনগণকে বাঁচাতে হবে। যানজট কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পতিত সরকারের প্রেতাত্মা এখনও বিভিন্ন প্রশাসনে বসে ষড়যন্ত্র করছে।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ সাব্বির হুসাইন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, মাওলানা আমিনুল ইসলাম কাসেমী, কারি আবু ইউসুফ, মুহা. আ. রহিম সুমন, ছাত্রনেতা আ. রহমান সোহান, আ. আলিম, যুবনেতা রফিকুল ইসলাম মিলন, হাফেজ আব্দুল্লাহ, মাওলানা সিদ্দুকুর রহমান, মাওলানা আ. মালেক, মুফতি রইস উদ্দিন প্রমুখ।