বিগত বেশ কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সদর উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রায় ৫০ ভাগ কৃষি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ১৪ হাজার ৭১৫ হেক্টর জমিতে ধানের চাষ হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে পানি নিষ্কাশনের উপজেলার বেশিরভাগ শত বছরের সরকারি খালের উপর মাটি ভরাট করে বাড়ি নির্মাণ সহ বিভিন্ন ভাবে খাল দখল হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে অনেক এলাকায় ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমিতে পুকুর খনন করায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কালের বিবর্তনে দখল হওয়া সরকারি খালগুলো উদ্ধারে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা যদি কোন কঠোর পদক্ষেপ না নেন তাহলে আগামীতে আমরা কৃষক বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবো। সেই সাথে কৃষি কাজে নিরুৎসাহিত হবো। এক বিঘা জমির চাষ করতে বীজ, সার, শ্রমিক,পানি সেচ সব মিলিয়ে ২০/৩০ হাজার টাকা খরচ হয়।
তবে তলিয়ে যাওয়া ধানের জমির পানি নিস্কাশনে কাজ শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল আলম ও কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান ইতিমধ্যেই উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন তারা।
গত ৬ গত সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাজবাড়ী জেলা কৃষি অফিসের উপ-পরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম খানখানাপুর ইউনিয়নের মল্লিকডাঙ্গা গ্রামে ধানের জমি পরিদর্শন করেন এবং কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
সদর উপজেলা কৃষি অফিসার জনি খান বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সে সব এলাকায় ধানের জমি তলিয়ে গেছে। কয়েকটি ইউনিয়ন আমরা পরিদর্শন করেছি। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে কৃষকদের সাথে কথাও বলেছি ।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম বলেন, কৃষকের ধানের জমি তলিয়ে গেছে এমন তথ্য পেয়ে কৃষি অফিসারকে অবগত করেছি। দখল হওয়া সরকারি খাল পুনঃখননসহ জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ও পানি নিষ্কাশনের বিষয়ে আমরা কাজ করছি।