বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে আওয়ামী লীগের ৮৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা হয়েছে। গত বুধবার সদর উপজেলার খানখানাপুর ব্র্যাকপাড়ার মো. ইদ্রিস ফকিরের ছেলে মো. শাহিন ফকির বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মামলার আসামিরা হলেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার শহীদওহাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নুর মোহাম্মদ ভূঁইয়া, শহীদওহাবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল হক, দীপক কুন্ডু, গোয়ালন্দ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, এনায়েতুল হাসনাইন রওশন, শ্রমিকলীগ নেতা আব্দুর রশিদ, শাহনেওয়াজ স্বপন, আজিম মোল্যা, দেবাশীষ ভৌমিক, বাদল দে, জীবন, শিপন, হাজী আব্দুস সাত্তার, জুলহাস মল্লিক, রাসেল শেখ, কালাম খান, আমজাদ, ইউসুফ ভূঁইয়া, ইব্রাহিম ভূঁইয়া, তাজেল ভূঁইয়া, রফিক শেখ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজীব, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান মিয়া সোহেল, আক্কাস খাঁ, রাসেল মোল্যা, কাজী নুর নবী বাবু, লিটন মেম্বার, ইসাক খাঁ, ফরহাদ মোল্যা, খানখানাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির আলী মোল্যা, হানিফ, কামাল পাটোয়ারী, রবিউল পাটোয়ারী, বিল্লাল পাটোয়ারী, সজিব পাটোয়ারী, আলম পাটোয়ারী, ফিরোজ আহম্মেদ জুয়েল, জনি বিশ্বাস, ওমর আলী বিশ্বাস, আলম খান, সালাম শেখ, শহীদওহাবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ ফরিদ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, দীপক। মামলায় ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, আসামিরা গত ৫ আগস্ট রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করে। এতে তার ভাই রেজাউল করিম ও মা রাহেলা বেগমসহ রাজা, ইসলাম, কালাম ঢালী, শহিদ, সফিউদ্দিন আহমেদ কাসেম, মুরাদ, জুয়েল, আমজাদ হোসেন বাবু, জাহিদ মেম্বার, সোবাহানসহ অসংখ্য আন্দোলনকারী আহত হন।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মো. মাহমুদুর রহমান জানান, ‘বুধবার মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।