পদ্মায় অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির ফলে ঘাট বন্ধ থাকা ও যানবাহনের তুলনায় ফেরি কম থাকায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে নদী পারের অপেক্ষায় দৌলতদিয়া ঘাট অভিমুখে মহাসড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, পদ্মার পানি গত ২৪ ঘন্টায় ৪৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধিতে পন্টুন পানিতে ডুবে যাওয়ায় শনিবার দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরি ঘাট বন্ধ হয়ে যায়। ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার নদীতে অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধির ফলে ৪ ও ৫ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ ছিল। সারাদিন পর বিকেল ৫টার দিকে তা সচল করা হয়। কিন্তু ৭ নম্বর ঘাটটির পন্টুন পানিতে ডুবে গেলেও ঝুঁকি নিয়ে তখনো যানবাহন উঠানামা করছিল। তবে ঘাটটি সংস্কার করে ব্যবহার উপযোগী করার জন্য শনিবার (২১মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঘাট বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ঘাট সঙ্কটের পাশাপাশি ফেরি সঙ্কটের কারণে শনিবার সকাল থেকেই ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ ফিড মিল পর্যন্ত অন্তত সাড়ে ৪কিলোমিটার জুড়ে ৫শতাধিক বিভিন্ন যানবাহন পারের অপেক্ষায় আটকা পরে। তবে যাত্রীবাহী যানবাহন ও পচনশীল দ্রব্যের যানবাহনগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।
সিরিয়ালে আটকে থাকা ট্রাকচালক রায়হান হোসেন বলেন, নদী পারাপার হতে ঘাটে এলে ভোগান্তিতে পরতেই হয়। দালাল ধরে ফেরির নাগাল পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যাবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জানান, ২১টি ফেরির মধ্যে ১৮টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। রোরো (বড়) ফেরি ভাষা সৈনিক গোলাম মওলাসহ আরো ২টি ফেরি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতিতে মেরামতে আছে। পানি বৃদ্ধির ফলে ৭ নম্বর ফেরিঘাটটি বন্ধ করে ব্যবহার উপযোগী করার জন্য সংস্কার করা হচ্ছে। আশা করছি ঘাটটি ঠিক হলে যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।