প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২০ (২য় পর্যায়ের) প্রশ্নপত্র জালিয়াতি চক্রের ১৩ সদস্যকে আটক করেছে রাজবাড়ী গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। শুক্রবার দুপুরে শহরের নতুনবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রশ্নের ফটোকপি, ২০টি মোবাইল ফোন, ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। সন্ধ্যার দিকে রাজবাড়ী গোয়েন্দা কার্যালয়ে এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
রাজবাড়ী ডিবি ওসি প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ^াস জানান, পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামারেননর সার্বিক দিক নির্দেশনায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২০ (২য় পর্যায়) পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ প্রানবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস রাজবাড়ী পৌরসভার ভবানীপুর, মুরগির ফার্মের পেছনের গলিতে মিজানুর রহমান (৪৩) এর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের কাজে ব্যবহৃত বিশেষ ধরনের ডিভাইস সহ ১৩ জন কে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ২০টি মুঠোফোন, দুটি মাস্টারকার্ড সদৃশ্য ডিভাইস (সিম সংযুক্ত), দুটি ইয়ারফোন, আড়ি পাতা ডিভাইসের ছোট ছয়টি ব্যাটারি, পুরাতন একটি মডেম, নগদ ১০ হাজার টাকা, হাতে লেখা পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর, পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রের ফটোকপি, বিভিন্ন গাইড বই, সোনালী ব্যাংকের একটি ভিসা ডেবিট কার্ড, ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেডের একটি ডেবিট কার্ড এবং দুটি স্যামসাং পাওয়ার ব্যাংক জব্দ করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে একজন মহিলা পরীক্ষার্থীসহ সরকারি প্রাইমারি স্কুলের ০৫ জন স্কুল শিক্ষক রয়েছে। ঘটনার মূল হোতা মোঃ মাঈনুল ইসলাম হাওলাদার (৪২), প্রশিক্ষক ইউআরসি (উপজেলা রিসোর্স সেন্টার) মির্জাগঞ্জ, পটুয়াখালীকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। তিনি তার সোনালী ব্যাংকে একাউন্টের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করেছে বলে জানায়। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিঃ পুলিশ সুপার মোঃ সালাহউদ্দিন (প্রশাসন ও অর্থ), শাহনেওয়াজ রাজু বিপিএম, পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্), মাঈন উদ্দিন চৌধুরী, অতিঃ পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), ডিআইও-১, জেলা বিশেষ শাখা, রাজবাড়ী।