রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পদ্মার ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। বর্তমানে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীব্র স্রোতে বসতবাড়ি, দোকানপাট ও নদীর পাড় এবং ৬ নং ফেরিঘাটে ভাঙন অব্যহত রয়েছে। ভাঙ্গন রোধে বিআইডব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন পদক্ষেপ না থাকায় এলাকাবাসীর রক্ষার্থে নিজ উদ্যোগে ও ব্যাক্তিগত অর্থায়নে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছেন গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সী।
শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ৬ নং ফেরিঘাট প্রায় অর্ধেকই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন রোধে উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সীর উদ্যোগে ট্রাকে করে বালু এনে তা জিও ব্যাগের মাধ্যমে ভাঙন স্থানে ফেলছে শ্রমিকেরা। এসময় দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে বসবাসরত লোকজন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, নদীভাঙ্গন রোধে কেউ কোনো প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। কয়েকদিন আগে মোস্তফা মুন্সী ফেরিঘাটের ভাঙন স্থান পরিদর্শন করেন এবং তখন তিনি আমাদের কথা দেন কেউ যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমি ব্যাক্তিগতভাবে আপাতত ভাঙন রোধে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলবো। এসময় গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ঘোষসহ অন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিপ্লব ঘোষ বলেন, বর্তমানে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবত পদ্মা নদীর ভয়াবহ ভাঙন অব্যহত থাকলেও এর কোন সঠিক সুরাহা হয়নি। ইতিমধ্যে পদ্মা নদীর ভাঙনে শতাধিক ঘর বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। বিআইডব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় আমাদের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সী নিজ উদ্যোগে ভাঙন রোধে আপাতত এক হাজার বালুভর্তি জিওব্যাগ ৬ নম্বর ফেরিঘাটে ফেলছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সী বলেন, আমরা পদ্মা পারের মানুষ। পদ্মা নদী আমাদের সব গিলে খাচ্ছে। আমার বসতভিটাও পদ্মা নদীতে চলে গেছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছোয়া সব জায়গায় অব্যহত আছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়ালন্দ উপজেলাবাসীর একটাই চাওয়া তা হলো নদী শাসন, যা করা হলে মানচিত্র থেকে হারাবেনা গোয়ালন্দ। ফেরিঘাটের ভাঙন রোধে বিআইডব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। সেজন্য পদ্মা পাড়ের মানুষের কথা চিন্তা করে আপাতত ভাঙন রোধে কিছু জিও ব্যাগ ফেলছি।