রাজবাড়ী জেলা সদরের পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের মুকুন্দিয়া উচ্চ-বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বচিনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্কুলের অভিভাবক সদস্য ও শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পর তরিঘরি করে সভাপতি নির্বাচিত করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক শরিফ মো. জিল্লুর রহমান। সভাপতি নির্বাচন বাতিল করে সকল সদস্যদের উপস্থিতি ও মতামতের ভিত্তিতে পুনরায় সভাপতি নির্বাচন করতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমক শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক বরাবর আবেদন করেছেন মহিলা সদস্য পারুল আক্তার।
স্কুলের সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষক প্রতিনিধি মো. মাহাবুবুল আলম বলেন, আমি ও সংরক্ষিত সদস্য পারুল আক্তারকে না জানিয়ে ও সিগনেচার না নিয়ে ঘরোয়া ভাবে অনিয়মের মাধ্যমে এক দিনের মধ্যই তার পছন্দ মত সভাপতি নির্বাচিত করেছেন। অভিভাবক সদস্য ও শিক্ষক প্রতিনিধি ২৭ জুন নির্বাচিত হওয়ার পরের দিনই সভাপতি নির্বাচন করে রেজুলেশন তৈরী করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে কমিটি অনুমোদনের জন্য পাঠান। সভাপতি নির্বাচন বাতিল করে নতুন করে সকলের মতামতের ভিত্তিতে সভাপতি নির্বাচন করতে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে অনুরোধ জানান।
পারুল আক্তার বলেন, ২৭ জুনে অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত হই। এর পরের দিন কিভাবে আমি ও আমাদের স্কুলের আরো একজন শিক্ষক সদস্যকে না ডেকে পরের দিন সভাপতি নির্বাচন করলেন প্রধান শিক্ষক তা আমার বোধগম্য হচ্ছেনা। এ কারনে আমি ম্যানেজিং কমিটি বন্ধ করে সকলের অংশগ্রহন,মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিটি করতে আবেদন করেছি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমক শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক বরাবর। তিনি চান সকলের মতামত নিয়ে ভোটের মাধ্যমে যে সভাপতি হবে তাকেই তিনি মেনে নিবেন।
মুকুন্দিয়া উচ্চ-বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফ মো. জিল্লুর রহমান বলেন, গত ২৭ জুন তারিখে অভিভাবক সদস্য ও শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়।এর পরের দিন সকল সদস্যদের সাথে মিটিং করে ২৮ জুন সভাপতি নির্বাচন করেন।যেখানে প্রিজাইডিং অফিসার ছিলেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মধুসূদন সাহা। মূলত তিনি নির্বাচন পরিচালনা করে সভাপতি নির্বাচন করেছেন। সভাপতি নির্বাচিত করতে আমার কোন হাত নেই। তাছাড়া আমার শ্বশুর অসুস্থতার কারনে তাকে নিয়ে ঢাকা যাবো বলে আমি প্রিজাইডিং অফিসারকে জানাই। তখন তিনি পরের দিন নির্বাচন করার কথা বলেন। তাই আমি সকলের উপস্থিতিতে সভাপতি নির্বাচন করি।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও মুকুন্দিয়া ম্যনেজিং কমিটির নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার মধুসূদন সাহা বলেন, সকল সদস্যদের ডেকে মতামতের ভিত্তিতে সভাপতি নির্বাচনের তারিখ নির্ধার করার কথা। এখন সে যদি আমাকে সব দায় দেয় যে,আমি সভাপতি নির্বাচিত করেছি, তিনি কিছু করেননি তাহলে সে আপনাকে ভুল বলেছে। সে যেটা বলেছে সেটা সঠিক না। কারন নির্বাচনী ম্যানুয়ালে সদস্য ও শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পর সাত দিনের মধ্যে সভাপতি নির্বাচিত করার নিয়ম রয়েছে। প্রধান শিক্ষক পরের দিন সভাপতি নির্বাচিত করার কথা জানালে আমি তারাহুরো করার কি আছে বল্লে তিনি বলেন আমার শ্বশুর অসুস্থ্য তাকে চিকিৎসা করতে নিয়ে যাবো। এ কারনে আমি তাকে পরের দিন সম্মতি দিয়েছি নির্বাচন করার।